Saturday, March 23, 2019

মানিকগঞ্জ জেলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী

মানিকগঞ্জ জেলা



মানিকগঞ্জ জেলার সংক্ষিপ্ত  বিবরণী
মানিকগঞ্জ জেলার মানচিত্র

মানিকগঞ্জ জেলা  ঢাকার  নিকটতম ছোট্ট একটা জেলা। এটি ১৯৮৪ সালে জেলায় পরিণত হয়। তার আগে এটি ঢাকার সাথেই ছিল। পোস্ট কোডের নাম্বার ১৮০০।

এই জেলা মোট ৭টি উপজেলা এবং ৬৫টি ইউনিয়ন  নিয়ে  গঠিত।এই জেলার মোট আয়তন ১৩৮৩.৬৬ বর্গ কি.মি.। জনসংখ্যা প্রায় ১,৩৯২,৮৬৭ জন (২০১১)।

 উপজেলা গুলো হলঃ ১.মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা (ইউনিয়ন১০টি), ২.ঘিওর উপজেলা (ইউনিয়ন ৭টি), ৩. দৌলতপুর উপজেলা (ইউনিয়ন ৮টি), ৪.শিবালয়  উপজেলা (ইউনিয়ন ৭টি), ৫.সাটুরিয়া উপজেলা (ইউনিয়ন ৯টি), ৬.সিংগাইর উপজেলা (ইউনিয়ন ১১টি), ৭.হরিরামপুর উপজেলা (ইউনিয়ন ১৩টি)।


দর্শনীয় স্থান সমূহঃ



মানিকগঞ্জ জেলার সংক্ষিপ্ত  বিবরণী
বালিয়াটি জমিদার বাড়ির পুকুর

মানিকগঞ্জ জেলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি
মানিকগঞ্জ জেলার সংক্ষিপ্ত  বিবরণী


মানিকগঞ্জ জেলায়  রয়েছে অনেকটি  জমিদার বাড়ি। উল্লেখযোগ্য আছেঃ বালিয়াটি  জমিদার  বাড়ি, তেওতা জমিদার বাড়ি। বালিয়াটি  জমিদার  বাড়িটি মানিকগন্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলায় অবস্থিত। এই জমিদার বাড়িটি মানিকগঞ্জ হতে ১৮ কি.মি. দূরে অবস্থিত ।

আর তেওতা  জমিদার  বাড়িটি  অবস্থিত শিবালয় উপজেলায় । যমুনা নদীর পাশাপাশি এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। এই জমিদার  বাড়িটি মানিকগঞ্জ হতে ২২ কি.মি. দূরে অবস্থিত। এছাড়াও আছে মানিকগঞ্জ নাহার গার্ডেন, নারায়ন সাধুর আশ্রম  এবং ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়, এটি মানিকগঞ্জ হতে ১৮ কি.মি. দূরে সাটুরিয়া উপজেলায় অবস্থিত ।
এছাড়াও দেশের বিখ্যাত  নদী যমুনা এবং পদ্মা।

এই  ২টি নদী জেলার পাশ দিয়েই প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়াও  প্রবাহিত হয়েছে  ইছামতি নদী ,ধলেশ্বরী নদী এবং কালিগঙ্গা নদী।এইসব নদী থেকে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।এই জেলায় প্রচুর পরিমাণে  তামাক  চাষ  হয়। অনেকগুলো নদী এই জেলার  উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এখানকার মাটির ধরণ  অধিকাংশই বেলে দোঁআশ।

এছাড়াও চাষ হয় ধান, ভূট্টা, গম, পাট, বাদাম, আখ, লেবু , আলু  এবং   নানান  রকমের  সবজি।

মানিকগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে  চলে গেছে ঢাকা-রাজবাড়ি-শরিয়তপুর হাইওয়ে রাস্তা। মানিকগঞ্জ জেলায় মোট ১৬৬ টি  উল্লেখযোগ্য হাট রয়েছে।

ঝিটকা বাজার, ‍ঘিওর বাজার, মহাদেবপুর বাজার, বরঙ্গাঈল বাজার, সিঙ্গাইর বাজার, বালা বাজার, বাঙ্গালা বাজার,  জামশা বাজার, দিবাড়ী বাজার, বাইরা বাজার, কলিয়া বাজার, ছনকা বাজার, গোপালপুর বাজার, দড়গ্রাম বাজার, সিংজুরী বাজার, তিল্লি বাজার, বাংলাদেশের হাট বাজার, সাভার বাজার, দৌলতপুর বাজার ,বুটিবাজার  ইত্যাদি বাজার মানিকগঞ্জে বিখ্যাত।


এছাড়া মানিকগঞ্জে ৫৪টি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মানিকগঞ্জ বিজয় মেলা, বাহাদিয়া বৈশাখী মেলা, জয়মন্টপ মোডোর মেলা, মজি বাড়ির মেলা, জিন্দাশাহ এর মেলা,রোহিত যাত্রা মেলা, বিলাল পাগলার মেলা, বাহের পাগলার মেলা, বাথাইমুরি মেলা, পুশ মেলা, সাধুর মেলা, ধামশ্বর মেলা ইত্যাদি।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহঃ




১.মানিকগঞ্জ  সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ (১৯৪৩)। এটির প্রতিষ্ঠাতা  টাংগাইলের আর.পি. সাহা। কলেজটি  তার  পিতার নামে প্রতিষ্ঠা হয়। এছাড়াও আছে, 
২.খাঁন-বাহাদুর  আওলাদ হোসেন  খান কলেজ  মানিকগঞ্জ ,
৩. ঘিওর সরকারী কলেজ, ৪. সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ্  ডিগ্রী কলেজ, 
৫.তেরশ্রী  ডিগ্রী  কলেজ,
৬.রাজিবপুর আদর্শ কলেজ মানিকগঞ্জ,
৭.এম. ‍এ রউফ ডিগ্রী কলেজ কৌড়ী, 
৮. বিচারপতি নূরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ,  ৯.তালুকনগর   ডিগ্রী কলেজ,  
১০.ড. আব্দুর রহিম খান মহিলা  কলেজ,  ১১.মহাদেবপুর ইউনিয়ন ডিগ্রী কলেজ, 
১২. শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ,
১৩.মতিলাল ডিগ্রী কলেজ,
১৪. কলিয়া কারিগরী ও বাণিজ্য কলেজ,
১৫.এম. এ .রাশেদ খান টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ও
১৬.বাচামারা  বাঘুটিয়া  চরকাটারী  কলেজ ।
এছাড়াও রয়েছে  মাধ্যমিক  বিদ্যালয় ৪৯ টি,  মাদ্রাসা ১২টি, প্রাথমিক  বিদ্যালয়  ১৩৬টি,  নিম্ন-মাধ্যমিক  বিদ্যালয়  ২টি।

Previous Post
Next Post

0 comments:

Thank you sharing for your comment