Thursday, October 5, 2023

গাজীপুর জেলার বিবরণ:

গাজীপুর জেলার বিবরণ:

নুহাশ পল্লী


আজকের আলোচনা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের রাজধানী ঢাকা বিভাগের অন্যতম একটি প্রশাসনিক জেলা গাজীপুর জেলাকে নিয়ে। গাজীপুর বাংলাদেশের অন্যতম একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা। ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা হওয়ায় এটি এখন অন্যতম বড় একটি শিল্প এলাকায় পরিণত হয়েছে। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী হওয়ায় এখানে বেশীর ভাগ বড় বড় সরকারী অফিস, আদালত, হাসপাতাল, বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানীর প্রধান প্রধান সব কার্য্যালয় এইখানে অবস্থিত।এছাড়াও ঢাকায় বিভিন্ন সরকারী এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, আদালত, সরকারী সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রধান অফিস ও ব্যাংকগুলো ঢাকায় অবস্থিত। আর তাছাড়া ঢাকা শহরে তেমন বড় বড় খালি জায়গা নেই, যেখানে বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব। তাই ঢাকার সবচেয়ে কাছের জেলা শহর গাজীপুর জেলা হওয়ায় এই অঞ্চল শিল্প কারখানার জন্য সবচেয়ে উপযোগী এবং যাতায়াতের জন্য সহজবোধ্য হওয়ায় সবচেয়ে বেশি শিল্পকারখানা এখানে গড়ে উঠেছে। এর অবস্থানগত কারণে এটি বাংলাদেশের একটি বিশেষ শ্রেণীর জেলার ক্যাটাগরীতে রয়েছে। মোগল ও ব্রিটিশ আন্দোলনের সময় গাজীপুর জেলার ভূমিকা ব্যাপক এবং ইতিহাস মন্ডিত জেলা।১৯ শে মার্চ ১৯৭১ সালে গাজীপুরেই প্রথম সংঘটিত হয় পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ। গাজিপুরেই রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের  ‍বিভিন্ন বাহিনীর সদর দপ্তর এবং ১৯টি কেপি আই, দুইটি ক্যান্টনমেন্ট, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের একমাত্র হাইটেক পার্ক, দেশের সবচেয়ে বেশি পোশাক কারখানা এবং টেক্সটাইল, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-প্রতিষ্ঠান, পার্ক, বন, টাকা তৈরীর কারখানা, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার এই জেলায় অবস্থিত। গাজীপুর জেলার প্রায় ৭৫ শতাংশ এলাকায় জুড়ে গার্মেন্টস ।এই জেলা হতেই দেশ ও বিদেশে বাংলাদেশের তৈরীকৃত পোষাক রপ্তানি করা হয়্।এই তৈরী পোষাক পৃথিবী জুড়ে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।দেশে উৎপাদিত পন্য মধ্যে বিদেশে রপ্তানীযোগ্য যেসকল পন্য রয়েছে তার মধ্যে তৈরী পোষাক অন্যতম। এছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তুলা গবেষণা ইনস্টিটিউট।

 

বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক

গাজীপুর জেলার অবস্থান:

গাজীপুর জেলার ঢাকা জেলার সবচেয়ে কাছের জেলা। ঢাকার জেলার সীমানায় যেসকল জেলা রয়েছে তারমেধ্যে গাজীপুর জেলা অন্যতম।ঢাকার পরেই এই জেলাটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে। দেশের ঢাকা সচল রাখতে এই জেলার অবদান অনেক। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও পোশাক শিল্পের উপর বর্তমান অর্থনীতি অনেকটা নির্ভরশীল। গাজীপুর জেলার পশ্চিমে টাংগাইল, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা জেলা,উত্তরে ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে নারায়নগঞ্জ ও ঢাকা জেলা, পূর্বে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ জেলা অবস্থিত। দেখা যাচ্ছে এই জেলার প্রায় তিন পাশেই ঢাকা জেলা অবস্থিত।

 

প্রশাসনিক এলাকা সমূহ:

গাজীপুর জেলাটি ৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ গাজীপুর জেলাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

উপজেলাগুলো হলো-

১. শ্রীপুর উপজেলা, ২. কালিয়াকৈর উপজেলা, ৩. গাজীপুর সদর উপজেলা, ৪. কাপাসিয়া উপজেলা ও ৫. কালীগঞ্জ উপজেলা। আর সিটি কর্পোরেশন ১টি (গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন),পৌরসভা ৩টি (শ্রীপুর, কালিয়াকৈর ও কালীগঞ্জ),থানার সংখ্যা মোট ৭টি ( ১. টংগী, ২. জয়দেবপুর, ৩. কাপাসিয়া, ৪. কালিয়াকৈর, ৫. শ্রীপুর, ৬. কালীগঞ্জ ও ৭. হাইওয়ে থানা- সালনা ) এছাড়াও আরও ৮টি পুলিশ ফাঁড়ি আছে।

এগুলো হলো- ১. মীরেরবাজার, ২. টঙ্গী পূর্ব, ৩. টঙ্গী পশ্চিম, ৪. কোনাবাড়ী, ৫.বোর্ড বাজার, ৬. মৌচাক, ৭. চৌরাস্তা ও ৮. কাশিমপুর পুলিশ ফাঁড়ি। ইউনিয়ন ৪৪টি, উপজেলা ভূমি অফিস ৬টি, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ৩২টি, পৌর ভূমি অফিস ৩টি, মৌজা ৮১৪টি, গ্রামের সংখ্যা ১১৪৬টি, হাটবাজার আছে ১৯১টি (আনুমানিক), আন্তজেলা খেয়াঘাট আছে ৬টি।

গাজীপুর জেলার আয়তন, জনসংখ্যা এবং ভোটার সংখ্যা:

এই জেলার মোট আয়তন ১৭৭০.৫৪ বর্গ কি.মি. এর মধ্যে প্রায় ‍১৭.৫৩ কি.মি. এলাকা জুড়ে রয়েছে নদ-নদী এবং ২৭৩.৪২ বর্গ কি.মি. জুড়ে রয়েছে বিশাল বনভূমি। যা গাজীপুর জেলার অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বিশেষ প্রাকৃতিক উপাদান। ঢাকা শহরে একমাত্র মিরপুর চিরিয়াখানায় এই বন রয়েছে। তাছাড়া ঢাকা শহরে তেমন পরিমাণে গাছপালা বা বনাঞ্চল নেই। যার ফলে শহরের তাপমাত্রা দেশের অনান্য জেলার চাইতে অধিক বেশি। তাছাড়াও এই বনভূমি থাকার কারণে এই জেলায় প্রচুর পরিমাণে বন্যপ্রাণী বসবাস করতে পারে । তা বন্য প্রাণীদের জন্য এক বিশাল অভায়াশ্রম। বন্য প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বাঘ, সিংহ, হাতি, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, হরিণ, শিয়াল,ভাল্লুকসহ বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী।

এই্ জেলার মোট জন সংখ্যা প্রায় ৪৪,০৩,৯১২ জন। আয়তন অনুসারে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কি.মি.তে ২৫০০ জন এবং প্রতি বর্গ মাইলে ৬৪০০ জন।

এই জেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২৪,১৯,৬০৫ জন। এটি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুযায়ী হিসেব করা। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১২,২০,৩৯১ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১১,৯৯,২১৪ জন। গাজীপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার সংখ্যা গাজীপুর ২ আসনে।

 

গাজীপুর জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা:

গাজীপুর জেলায় অনেক সুনামধন্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সে সকল প্রতিষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে ছাত্র-ছাত্রীরা আসে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য।

গাজীপুর জেলায় সরকারী এবং বহু সংখ্যক বেসরকারী উভয় ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই জেলার বর্তমানে স্বাক্ষরতার হার ৮০.৭%।

তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি  বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে তুলে ধরা হলো।

১.জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,

২. উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়,

৩. বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়,

৪. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,

৫. ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এছাড়াও এই জেলায় অনেক সুনামধন্য দেশ সেরা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে।

তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কলেজ এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম নিচে তুলে ধরা হলো।

১. মিছির আলী খান মেমোরিয়াল কলেজ, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

২. কালিয়াকৈর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

৩. হাবেজ উদ্দিন সরকার কলেজ, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

৪. গাজীপুর সরকারী মহিলা কলেজ,

৫. গাজীপুর আইডিয়াল কলেজ,

৬. ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ,

৭. গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ,

৮. হাতিমারা হাই স্কুল এন্ড কলেজ,

৯. জামালপুর ডিগ্রী কলেজ,

১০. কোনাবাড়ী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,

১১. টংগী সরকারী কলেজ,

১২. কাজী আজিম উদ্দীন কলেজ,

১৩. পুবাইল ডিগ্রী কলেজ,

১৪. ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি,

১৫. দারুল ইহসান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি,

১৬. আব্দুল আওয়াল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,

১৭. শ্রীপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারী কলেজ, শ্রীপুর, গাজীপুর,

১৮. বড়ই বাড়ী এ. কে. ইউ ইনস্টিটিউশন ও কলেজ, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

১৯. পিরুজালী আমানিয়া ফাজিল ( বি.এ) মাদ্রাসা,

২০. কাশিমপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ, কাশিমপুর, গাজীপুর,

২১. রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর,

২২. দারুস সালাম ফাজিল মাদ্রাসা,

২৩. ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজ, ভাওয়াল গাজীপুর,

২৪. রোবার পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,

২৫. দুর্বাটি এম ইউ কামিল মাদ্রাসা, কালীগঞ্জ, গাজীপুর,

২৬. আকুলিচালা উচ্চ বিদ্যালয়, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

২৭. গোলাম নবী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

২৮. আক্কেল আলী উচ্চ বিদ্যালয়, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

২৯. জামালপুর আরএম বিদ্যাপীঠ,

৩০. রোভার পল্লী উচ্চ বিদ্যালয়,

৩১. জুগলী উচ্চ বিদ্যালয়, কালিগঞ্জ, গাজীপুর,

৩২. বালিয়াদী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

৩৩. মৌচাক স্কাউট উচ্চ বিদ্যালয়, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

৩৪. বিদ্যান উচ্চ বিদ্যালয়, পূবাইল, গাজীপুর,

৩৫. গাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীপুর, গাজীপুর,

৩৬. চাপাইর উচ্চ বিদ্যালয়, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

৩৭. রাণী বিলাস মনি সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়,

৩৮. ঢোল সমুদ্র বালিকা বিদ্যানিকেতন, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

৩৯. বেগম রোকেয়া আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়,

৪০. ইমপো এ্যাঞ্জেলস্ স্কুল, চান্দনা চৌরাস্তা, গাজীপুর,

৪১. যোগীরছিট উচ্চ বিদ্যালয়,

৪২. পিরুজালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,

৪৩. প্রফেসর এম ই এইচ আরিফ উচ্চ বিদ্যালয়, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

৪৪. আলহাজ্ব ধনাই বেপারী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়,

৪৫. পিরুজালী আমানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এছাড়াও আরও সুনামধন্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গাজীপুর জেলায় রয়েছে।

গাজীপুর জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।

বাংলাদেশের অনান্য জেলার মতো গাজীপুর জেলায়ও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এই জেলার প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলি আপনার মনকে সতেজ করে গড়ে তুলবে।কারণ এই জেলায় যান্ত্রিকতার পাশাপাশি অনেক বৈচিত্রপূর্ণ প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলি দেখা যায়। এই জেলায় নদী-নালা,খাল-বিল, ফসলের মাঠ, পুকুর-ঘাট, বাজার, বিভিন্ন বন, বড় বড় কারখানা, পার্ক, টেক্সটাইল, কারাগার, বিভিন্ন সুট্যিং স্পট সহ আরও নানান কিছু একসাথে। যা অনান্য জেলাগুলোতে নেই। এই জেলার ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। তাই এই জেলার প্রাচীন ইতিহাস আর ঐতিহ্য দেখতে হলে অবশ্যই আপনাকে গাজীপুর জেলায় ঘুরতে হবে। এই জেলার উল্লেখযোগ্য কিছু দর্শনীয় স্থানসমূহ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান


১. ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান,

২. ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী, গাজীপুর সিটি,

৩.নুহাশ পল্লী, গাজীপুর সদর,

৪.বঙ্গবনন্ধু সাফারী পার্ক,গাজীপুর,

৫. পূবাইল জমিদার বাড়ি, গাজীপুর সিটি,

৬. ভাওয়াল রাজবাড়ী, ভাওয়াল, গাজীপুর,

৭. বলধার জমিদার বাড়ী,

৮. একডালা দুর্গ, কাপাসিয়া, গাজীপুর,

৯. আনসার একাডেমী, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

১০. দত্তপাড়া জমিদার বাড়ী, গাজীপুর সিটি,

১১. জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

১২. উধুর জগন্নাথদেবের বিগ্রহ মন্দির,

১৩. কাশিমপুর জমিদার বাড়ি, কাশিমপুর, গাজীপুর সদর,

১৪. সেন্ট নিকোলাস চার্চ, কালীগঞ্জ, গাজীপুর,

১৫. বলিয়াদী জমিদার বাড়ী, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

১৬. টঙ্গী নদী বন্দর, টঙ্গী, গাজীপুর সিটি,

১৭. কপালেশ্বর রাজা শিশু পালের রাজধানী ( ধ্বংসপ্রাপ্ত পুরাকীর্তি,

১৮. বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

১৯. শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী, কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

২০. ওয়াল্টন হাইটেক এন্ড মাইক্রোটেক পার্ক, চন্দ্রা, গাজীপুর,

২১.ফ্যান্টাসি কিংডম,

২২. কাশিমপুর কারাগার, কাশিমপুর, গাজীপুর সদর,

২৩. অরণ্যবাস, বালিয়াসারা, গাজীপুর,

২৪. হাসনাহেনা, পূবাইল, গাজীপুর,

২৫. শালবন রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর,

 

 শালবন রাজেন্দ্রপুর

২৬. সাকাশ্ব বৌদ্ধস্তম্ভ,কালিয়াকৈর, গাজীপুর,

২৭. ড্রীম স্কোয়ার রিসোর্ট,

২৮. জল ও জঙ্গলের কাব্য রিসোর্ট,

২৯. জাগ্রত চৌরঙ্গী চান্দনা চৌরাস্তা, গাজীপুর,

৩০.আরশি নগর হলি ডে রিসোর্ট,ভাওয়াল, গাজীপুর,

৩১. সাবাহ গার্ডেন রিসোর্ট, বাঘের বাজার, গাজীপুর,

৩২. সোহাগ পল্লী, কালামপুর, চন্দ্রা, গাজীপুর,

৩৩. বেলাই বিল, চেলাই নদীর সাথেই গাজীপুর,

৩৪. নক্ষত্র রিসোর্ট,

৩৫. ছুটি রিসোর্ট,

৩৬. বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা, গাজীপুর,

এছাড়াও আরও অনেক দর্শনীয় রিসোর্ট রয়েছে এই জেলায়। আপনি ঢাকায় থাকলে অতি সহজেই এই দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করে আসতে পারেন। ঢাকার একদম নিকটেই এই মনোরম পরিবেশ। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে শিল্প কারখানা এই জেলায় রয়েছে। বলা যায় পোষাকের রাজধানী এই গাজীপুর জেলা। দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানী করা হয় এই জেলার তৈরীকৃত পোষাক। যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখে। আমরা আমাদের দেশের তৈরীকৃত পোষাক বিদেশে রপ্তানী করে আামদের দেশের রাজস্ব খাতে বিরাট অবদান রাখতে পেরেছি।

এছাড়াও এই জেলার ভাওয়ালের কাঠ আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রেখে চলেছে।

দেশের বন্য প্রানীদের জন্য বিরাট অভায়াশ্রম এই জেলাটি।

 

গাজীপুর জেলার গুনীজনদের নাম নিচে তুলে ধরা হলো:

এই জেলাটি বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এই জেলার মানুষও দেশের জন্য অতীতে এবং বর্তমানে অনেক অবদান রেখে চলেছেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এই গুনী লোকদের নাম;

১. তাজ উদ্দিন আহমেদ- বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমান্ত্রী,

২. মেঘনাদ সাহা- তিনি ছিলেন একজন জ্যোতি পদার্থ বিজ্ঞানী, যিনি পদার্থ বিজ্ঞানে থার্মাল আয়নাইজেসন তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা,

৩. ব্রিগেডিয়ার এএসএম হান্নান- বাংলাদেশ পাটমন্ত্রী (বিএনপি),

৪. ফকির শাহাবুদ্দিন- বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল,

৫. মোঃ সামসুল হক- স্বাধীন বাংলা  ফুটবল দলের প্রথম সভাপতি,

 ৬. এম জাহিদ হাসান- পদার্থবিদ তিনি ভাইল ফার্মিয়ন কণার আবিষ্কারক,

৭. আবু জাফর শামসুদ্দীন- সাবেক পাটমন্ত্রী,

৮. আর্চবিশপ পৌলিনুস ডি কস্তা- বাংলাদেশের প্রাক্তন ধর্মীয় নেতা,

৯. সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ তাজ উদ্দীন আহমেদ এর সহধর্মিনী এবং একজন মহিলা রাজনীতিবিদ,

১০. ফকির আব্দুল মান্নান শাহ- তিনি ছিলেন এমএলএ এবং পাকিস্তানের মন্ত্রী। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম লীগের সাধারন সম্পাদক ও পরবর্তী সময়ে সভাপতি। এছাড়াও তিনি ১৯৬৫-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রী ছিলেন।

১১. মোহাম্মদ ময়েজ উদ্দিন- তিনি ছিলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার পরিচালনাকারী,

১২. তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ- তিনি একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের প্রথম প্রধান মন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ এর ছেলে।

১৩. এম এ মান্নান- তিনি ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল  (বিএনপির) একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তাকে অধিকাংশ লোকে আলহাজ্ব অধ্যাপক এম এ মান্নান নামেই বেশি চিনতেন।

এই জেলার উল্লেখযোগ্য নদ-নদীর নামগুলো হলো:

বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ এই দেশের বুক চিরে অসংখ্য নদ-নদী জালের মতোই ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে রয়েছে।

এর মধ্যে নিম্নের নদীগুলো অন্যতম।

১.তুরাগ নদী, ২. টঙ্গী নদী, ৩. খিরু নদী, ৪. চিলাই নদী, ৫. গোয়াইল্যা নদী, ৬. নাগদা নদী, ৭. নালজুরী নদী, ৮. বানার লেয়ার নদী, ৯. বালু নদী, ১০. লাবুন্ধা নদী, ১১.লৌহজং নদী, ১২. পারুলি নদী, ১৩. পাহাড়িয়া নদী, ১৪. শীতলক্ষ্যা নদী, ১৫. বংশী নদী, ১৬. সুতি নদী, ১৭. ‍সালদহ নদী ও ১৮. কাওরাইদ নদী।

উক্ত নদী গুলো মূলত এই জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অন্য জেলায় চলে গেছে।

আজকের আলোচনা এই পর্যন্তই, আমাদের লেখায় যদি কোনো ভুল তথ্য থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর নতুন কোনো তথ্য আপনার কাছে থাকলে তাও লিখে জানাবেন আমরা তথ্যগুলো সংশোধন এবং আপডেট করব ইনশাআল্লাহ।

আর আপনার জেলা সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের এই ওয়েব সাইটটি তথ্য বহুল একটি ওয়েব সাইট।

আমাদের এই পোস্টে আপনি একসাথে অনেকগুলো তথ্য পেয়ে যাবেন। যার কারণে আপনাকে বারবার বিভিন্ন বিষয় সার্চ করে পড়তে হবে না।

 

আরও পড়তে নিচের লিংক গুলো ভিজিট করুন।

 বাঘেরহাট জেলার পরিচিতি

পঞ্চগড় জেলার পরিচিতি

নেত্রকোণা জেলার পরিচিতি