Tuesday, December 12, 2023

চুয়াডাঙ্গা জেলা

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা

চুয়াডাঙ্গা

ছবি - আট কবর

চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল দর্শনীয় স্থানের নাম সমূহ,
চুয়াডাঙ্গা জেলার মোট জনসংখ্যা কত?
চুয়াডাঙ্গা জেলার মোট ভোটার সংখ্যা কত?
চুয়াডাঙ্গা জেলায় কতটি উপজেলা রয়েছে?
চুয়াডাঙ্গা জেলার থানার সংখ্যা কতটি?
চুয়াডাঙ্গা জেলায় কতটি পৌরসভা রয়েছে?
চুয়াডাঙ্গা জেলার গুরুত্বপূর্ণ ও সুনামধন্য শিক্ষা - প্রতিষ্ঠানের নামগুলো।
চুয়াডাঙ্গা জেলার বিখ্যাত গুনীজন কারা?


আজকের আলোচনা বাংলাদেশের বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক জেলা চুয়াডাঙ্গা জেলাকে নিয়ে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বাংলাদেশের প্রথম দারিদ্রমুক্ত ও নিরক্ষর জেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

বাংলাদেশের মধ্যে সর্ব প্রথম যে ডাকঘরটি স্থাপিত হয় তার নাম ”চুয়াডাঙ্গা ডাকঘর”

১৮৬০ সালে বৃটিশ ভারতের সময় বাংলাদেশের বর্তমান চুয়াডাঙ্গা অংশে স্থাপিত হয়। ১৮৬০ সালে বাংলাদেশ নামে কোনো দেশ বা রাষ্ট্র ছিল না। আর ১৮৬২ সালে বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন এই জেলায় তৈরী হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার অনেক আগে থেকেই এই জেলায় যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল।

এখান থেকেই বাংলাদেশের চিঠি ও ডাক যোগাযোগের সূচনা হয়। এর পর আস্তে আস্তে সারা দেশের প্রতিটি জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলা  ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ডাকঘরের কার্যক্রম শুরু হয়। তখকার দিনে যোগাযোগের জন্য চিঠিই ছিল একমাত্র মাধ্যম।

মানুষ তার আপন জনের বা অফিস, আদালতের সমস্ত খবরাখবর এই ডাক যোগেই সম্পন্ন করে থাকতেন। ঢাকা শহর হতে আপনার নামে একটি চিঠি পাঠানো হলো। সেটি কিভাবে আপনার কাছে  পৌঁছাবে? তখনকার দিনে বর্তমানের মতো এত আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না।

আমরা এখন মিলি সেকেন্ডেই এক দেশের খবর, সংবাদ, পত্রিকা সহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য মুহূর্তেই পেয়ে যাই।আর তখন আপনাকে চিঠি পাঠানোর জন্য আপনার ঠিকানা সহ পোস্ট অফিস হতে ডাক টিকিট ক্রয় করে খামে করে আপনার ঠিকানায় পাঠানো হত।

আর এই মাধ্যম টি বহন করতেন সরকারীভাবে একজন ডাক পিয়ন। তিনি তার ডাকঘরের নামে যত ধরনের খাম বা চিঠি আসত, সেগুলোর ঠিকানা অনুযায়ী তার বাসায় পৌঁছে দিতেন। আর এই পুরো প্রসেসটি সম্পন্ন হতে প্রায় ৭ থেকে পনের দিন সময় লেগে যেত।

যার ফলে আপনাকে জরুরীভাবে কোথাও ডাকা হলে আপনার পর্যন্ত খবর আসতে আসতে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যেত। ঘটনা এমনও শোনা গেছে, শহর থেকে অনেক দূরে প্রত্যান্ত অঞ্চল, সেখানকার একজন ছাত্র শহরে চাকুরীর পরীক্ষা দেওয়ার পর তার ঠিকানায় চাকুরীর নিয়োগ পত্র পৌঁছে যেতে দেরী হবার কারণে তার চাকুরী অন্যজন পেয়ে যেত।শুধুমাত্র আমাদের দেশের যোগাযোগ মাধ্যম উন্নত ছিল না বলে।

আর আজকে আমরা আপনার এমন উন্নত যোগে পৌঁছেছি যেখানে ঘন্টা বা মিনিট নয় প্রতি মিলি সেকেন্ড সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের যোগাযোগ সম্পন্ন করতে সক্ষম। আর তাছাড়াও আমাদের দেশের প্রতিটি গ্রামে পর্যন্ত আমরা পরিবহন যোগে যেতে পারি খুব সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে।

 

চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস -

চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস অনেক পুরোনো গ্রীক ঐতিহাসিকদের মতে, এই অঞ্চলেই নাকি বিখ্যাত গঙ্গাডিরাই রাজ্য ছিলআর তখন গাঙ্গেয় নামক একটি শহরও এই স্থানে গড়ে উঠেছিল এই জেলার নামকরণের ইতিহাস লোকমুখ হতে শোনা যায়, এই এলাকায় নাকি আদিকালে মল্লিক বংশের আদি পুরুষ চুঙ্গো মল্লিকের বসবাস ছিল

যার নামানুসারেই হয়তো এই এলাকার নামকরণ করা হয়েছে ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৭৪০ সালের দিকে চুঙ্গো মল্লিক তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ( ছেলে আর মেয়ে) কে নিয়ে ভারতের মুর্শিদাবাদ নদীয়া জেলার সীমানায় অবস্থিত ইটেবাড়ি মহারাজপুর থেকে এই মাথাভাঙ্গা নদীপথ ধরে এই স্থানে এসে প্রথম বসতি গড়ে তুলেনপরে ১৭৯৭ সালের এক রেকর্ডে স্থানের নাম চুয়াডাঙ্গা নামে উল্লেখ করে লেখা হয়

ফারসি শব্দ থেকে ইংরেজিতে এই স্থানের নাম অনুবাদ করার সময় অনেকটা বিকৃত হয় বলে পরে তা উচ্চারণের সুবিধার্থে চুয়াডাঙ্গা নামটির উৎভব হয় এছাড়াও আরও জানা যায় যে, এই অঞ্চলের লোকজন পরিষ্কারকে বলে চুয়া

 আর স্থানটি এক সময় অনেক পরিষ্কার ছিল। এবং স্থানকে এরা ডাঙ্গা বলে থাকেন। আর এই দুই শব্দের সমন্বয়েই চৃয়াডাঙ্গা নামটির প্রচলন শুরু হয়। তবে দুটি উদাহরণই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে সবাই মনে করে থাকেন।

আর ১৯৬০ সালে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা গঠিত হলেও এর কার্যক্রম শুরু হয় মূলত ১৯৭২ সাল থেকেই।

 

জেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা, জনসংখ্যা -

চুয়াডাঙ্গা জেলার মোট আয়তন ১১৭০.৮৭ বর্গ কি.মি. এই জেলার মোট জনসংখ্যা ১২,৩৪,০৬৬ জন (২০২২ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)

জেলার মোট ভোটার সংখ্যা ,৩৭,১১৯ জন (২০১৮ সালের নির্বাচনী তথ্য হালনাগাদ অনুযায়ী) । এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৪,১৮,৫১২ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৪,১৮,৫৯১ জন।

 

জেলার প্রশাসনিক এলাকা সমূহ -

এই জেলাটি মোট ৪টি উপজেলা এবং ৪টি পৌরসভা এবং ৫টি থানা, ৩৮টি ইউনিয়ন, ৩৭৬টি মৌজা নিয়ে গঠিত।

এই এলাকায় মোট ২টি সংসদীয় আসন রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা- (আলমডাঙ্গা, দর্শনা) চুয়াডাঙ্গা- (চুয়াডাঙ্গা সদর, দামুড়হুদা জীবননগর) আসন।

৪টি উপজেলার নামগুলো হলো-

. আলমডাঙ্গা,

. চুয়াডাঙ্গা সদর,

 .দামুড়হুদা

. জীবননগর উপজেলা।

আর ৫টি থানার নামগুলো হলো-

.আলমডাঙ্গা,

 . চুয়াডাঙ্গা সদর,

 . দামুড়হুদা,

. জীবননগর

 . দর্শনা থানা।

আর ৪টি পৌরসভার নামগুলো হলো-

. আলমডাঙ্গা, . চুয়াডাঙ্গা সদর, . জীবননগর . দর্শনা পৌরসভা।

জেলার নদ-নদী সমূহ -

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এই দেশের বুক চিরে বয়ে গেছে অসংখ্য নদ-নদী, খাল-বিল সাগর-সমুদ্র

নদী আর বাংলার মানুষের জীবন একে অন্যের সাথে গভীরভাবে মিশে আছে। নদীই এদেশের প্রাণ। কারণ বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ আর এই দেশের মাটি অনেক উর্বর। আর উর্বর বলেই এত বেশি ফসল জন্মায় এই মাটিতে। আর এই জমি উর্বর হবার একমাত্র কারণ নদী।

 বর্ষায় পানির সাথে নদী দিয়ে পলি মাটি জমিতে এসে পড়ে। আর এই পলি মাটি যেসকল জমিতে পড়ে থাকে সেখানে প্রচুর পরিমাণে ফসল উৎপাদন হয়।

আর নদী শুধু পলি মাটিই দেয় না। এটি আমাদের দেশের শুষ্ক মৌসুমে জমিকে শুষ্কতার হাত থেকেও রক্ষা করে। জেলেরা নদী থেকে মাছ শিকার করে জীবিকা উপার্জন করে আমরা মাছের চাহিদা এই নদীর মাছ থেকেই মিটাই।

 তাই নদীর গুরুত্ব আমাদের জন্য অত্যন্ত।

 

জেলায় মোট পাঁচটি নদী রয়েছে

জেলার প্রধান প্রধান নদীর নামগুলো হলোঃ

. মাথাভাঙ্গা, . ভৈরব, . চিত্রা, . কুমার . নবগঙ্গা।

এসব নদী ছাড়াও আছে অনেক বড় বড় জলাশয়, ডুবা, পুকুর, বিল ইত্যাদি। এগুলোও আমাদের কৃষির জন্য অনেক অবদান রাখে।এগুলোতে প্রাকৃতিক ভাবে এবং কৃত্রিমভাবে মাছের চাষ করা হয়। সরকারী এবং বেসরকারী উভয়ভাবেই মৎস উৎপাদন করে মাছের চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে।

 

 

জেলার শিক্ষা ব্যবস্থাপনা -

আজ বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় শিক্ষার আলো পৌঁছে গেছে। কোথাও বাদ নেই বললেই চলে। মানুষ ধনী হউক আর গবির হউক সমস্যা নেই বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য জন্য যে পাঁচটি মৌলিক অধিকারের কথা উল্লেখ আছে, তারমধ্যে শিক্ষা অন্যতম। আর আমাদের দেশের মা বাবার তাদের সন্তানকে অনেক কষ্ট করে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে থাকেন।

কারণ তারা জানে আগামীতে অশিক্ষিত লোকের জন্য হয়তো বা শারীরিক কায়িক শ্রম ছাড়া আর কোনো ধরনের উপার্জনের রাস্তা থাকবে না। তাই সব পিতা মাতাই তাদের সন্তানকে - বছর বয়স হলেই স্কুলে পাঠায়

এই জেলায়ও তেমন ব্যতিক্রম নেই।

এই জেলায় সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নেই একটিও তবে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১টি

মহাবিদ্যালয় আছে মোট ১৯টি। তার মধ্যে বেসরকারী ১৬টি ৩টি সরকারী মহাবিদ্যালয়।

মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে মোট ১৩৭টি, যার মধ্যে সরকারী ২টি এবং বেসরকারী ১৩৫টি।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ৫টি, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে ১টি, পিটিআই আছে ১টি, টিটিসি আছে ১টি।

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে মোট ৪৪৫টি মাদ্রাসা মোট ৩৯টি। এর মধ্যে কামিল-১টি, দাখিল-২৭টি, আলিম-৪টি ফাজিল ৫টি। এছাড়াও আরও নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে দিন দিন।

চলুন জেনে নিই চুয়াডাঙ্গা জেলার  সুনামধন্য কিছু শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের নাম সমূহ।

. চুয়াডাঙ্গা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়,

. চুয়াডাঙ্গা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,

. ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়,

. নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়,

. কুড়লগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,

. মুন্সিগঞ্জ একাডেমী,

. ওসমানপুর প্রাগপুর মাদ্রাসা,

, দামুড়হুদা পাইলট হাই স্কুল,

. মেমনগড় বি. ডি. মাধ্যমিক বিদ্যালয়,

১০. আলমডাঙ্গা বহুমখী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়,

১১. হাটবোয়ালিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যলয় কলেজ,

১২. কলা-বাড়ি রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়,

১৩. কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়,

১৪. কুনিয়া চাঁদপুর মাদ্রাসা,

১৫. বদরগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা,

১৬. চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রী কলেজ,

১৭. চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ,

১৯. জীবন নগর কলেজ,

২০. দর্শনা সরকারী কলেজ ও

২১. চুয়াডাঙ্গা আদর্শ মহিলা কলেজ।

এছাড়াও আরও অসংখ্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এই জেলায় রয়েছে। আপনারা স্কুল কলেজের তথ্য আরও বিস্তারিত জানতে সরকারী ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সেখান থেকে আপনারা সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন।


চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ –

সারা সপ্তাহ অফিসের কাজ করে আপনাদের মন অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মনকে সতেজ রাখতে ভ্রমণের দরকার ব্যাপক। মন সতেজ থাকলে আপনার কাজে মন বসবে। আর মন ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে হারিয়ে যেতে হবে।

প্রকৃতি মনকে যে আনন্দ বা সতেজতা এনে দিবে অন্য কিছু কিন্তু  তা দিতে পারবে না।

তাই আমরা সব সময় ছুটে যাই সমুদ্র দেখতে, ঝর্ণা দেখতে, পাহাড় দেখতে। আর এগুলো আমাদের হাতের নাগালে না থাকায় কিন্তু আমরা শত চেষ্টা করেও অর্থ জমিয়েও সময়ের অভাবে যেতে পারি না।

তাই আমরা চিন্তা করতে থাকি হাতের নাগালে কি কোনো দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যদি থাকে তবে আমাদেও জানা না থাকার ফলে আমরা কিন্তু যেতে পারি না। তাই আজকে আমরা জানব আমাদের নিকটে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহের নামগুলো।

১. পুলিশ পার্ক - পুলিশ সুপারের কার্যালয় এর সাথে।

২. ডিসি ইকো পার্ক -শিবনগর, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা।

৩. কেরু এন্ড কোম্পানী - দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা।

৪. শিশু স্বর্গ - ফেরীঘাট রোড, চুয়াডাঙ্গা।

৫. নাটুদহের আট  কবর - মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর।

৬. চুয়াডাঙ্গার তিন গম্বুজ বিশিষ্ট বড় মসজিদ।

৭. তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ - তিয়রবিলা, খসকররা ইউনিয়ন, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা।

৮. শিবনগর মসজিদ।

৯. হাজারদুয়ারী স্কুল - দামুড়হুদা উপজেলা, চুয়াডাঙ্গা।

১০. ঘোলদাড়ী শাহী জামে মসজিদ - ১০০৬ খ্রিষ্টাব্দে ঘোলদাড়ী গ্রামে প্রতিষ্ঠিতি হয়,আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা।

১১.  ঠাকুরপুর জামে মসজিদ - চুয়াডাঙ্গা।

১২.  জামজামি মসজিদ - চুয়াডাঙ্গা।

১৩. নীলকুঠি - কার্পাসডাঙ্গা ও ঘোলদাড়ি, চুয়াডাঙ্গা।

১৪. আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন - ব্রিটিশ আমলে তৈরী এই রেলওয়ে স্টেশন তাই এটি নীলকুঠি   নামেই পরিচিত।

১৫. গড়াইটুপি অমরাবতির মেলা - চুয়াডাঙ্গা।

১৬. কুমারী সাহা জমিদার বাড়ি - চুয়াডাঙ্গা।

১৭. শিয়েল পীরের মাজার - চুয়াডাঙ্গা।

১৮. পাঁচ কবর - মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে ৫জন নিহত হন, হৈবতপুর মদনা, চুয়াডাঙ্গা।

১৯. শরৎচন্দ্র চট্টোপাদ্যায় এর স্মৃতি-বিজড়িত জমিদার বাড়ি - কাশিনাথপুর, চুয়াডাঙ্গা।

২০. হযরত মালেক উল গাউস (রঃ) মাজার শরীফ -গড়াইটুপি, তিতুদহ, চুয়াডাঙ্গা।

২১. রাখাল শাহ এর মাজার - চুয়াডাঙ্গা ও

২২. গনকবর - ধোপখালী, মনোহরপুর, চুয়াডাঙ্গা।

এছাড়াও অনেক সুন্দর সুন্দর পিকনিক স্পট ও রিসোর্ট রয়েছে। আপনারা চাইলে আপনাদের পরিবার সহ সেখানে গিয়ে ভ্রমণ করে আসতে পারেন।


চুয়াডাঙ্গা জেলার বিখ্যাত গুনীজনের তালিকা -

এই জেলায় অনেক গুনী ও বিখ্যাত ব্যক্তির জন্ম। তাদের অবদানে আজকে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ এতদূর পর্যন্ত আসতে পেরেছে। আমরা তাদের অবদান কখনোই ভুলে যাব না।

চলুন জেনে নিই এই জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি বর্গের তালিকা।

১. আসহাবুল হক - বিশিষ্ট চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদেও সদস্য ও তৎকালীন কুষ্টিয়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

২. মিঞা মোহাম্মদ মনসুর আলী - তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদেও সদস্য ও তৎকালীন কুষ্টিয়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের বিএনপির সাংসদ ছিলেন।

৩. হারুনুর রশিদ (বীর প্রতীক) - মহান মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা।

৪. আকরাম হোসেন (বীর উত্তম) - মহান মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা।

৫. সৃুরেন্দ্র মোহন ভট্টাচার্য - তিনি ছিলেন উনিশ শতকের বাঙালী ঔপন্যাসিক ও লেখক এবং হিন্দু ধর্মেও একজন পুরোহিত।

৬. অনন্ত হরি মিত্র - তিনি ছিলেন একজন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রখ্যাত নেতা। তিনি ছিলেন অগ্নি যুগের একজন শহীদ বিপ্লবী ব্যক্তিত্য। তিনি ১৯২১ সনে অহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন এবং কৃষ্ণনগরে বিপ্লবী ক্রিয়াকলাপ সংঘটনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকেন।

৭. মোজাম্মেল হক - তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। এছাড়াও তিনি একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি।

৮. কামরুজ্জামান দুদু - তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের দুই বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

৯. ফিরোজা বারি মালেক - সমাজ সেবিকা এবং প্রখ্যাত নারী নেত্রী। তিনি তার সমাজ সেবার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে ব্যাপক কাজ করে গেছেন। যার ফলে ১৯৮২ সালে সমাজ সেবায় তাকে স্বাধীনতা পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

১০. আবু সাঈদ ওমর আলী - তিনি একজন বাংলাদেশী ইসলামিক পন্ডিত, লেখক, সম্পাদক ও অনুবাদক। তিনি বাংলাদেশী ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশের বিশ^কোষ প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন ও সম্পাদনা পরিষদের সদস্য সচিব।

১১. মাওলানা ইমদাদুল হক - ইসলামি লেখক ও আলেম।

১২. মাওলানা আরশাদুল আলম - ইসলাম প্রচারক ও একজন প্রখ্যাত আলেম।

১৩. আব্দুস সেলিম - তিনি একজন বাংলাদেশী লেখক, শিক্ষাবিদ ও অনুবাদক। তিনি অনুবাদ সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমীর পুরষ্কার লাভ করেন।

 

আরও জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন -

পাবনা জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ ও বিস্তারিত বিরবণ,

টাংগাইল জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ ও বিস্তারিত বিরবণ,

সিরাজগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ ও বিস্তারিত বিরবণ,

কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ ও বিস্তারিত বিরবণ,

যশোর জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ ও বিস্তারিত বিরবণ,

গাজীপুর জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ ও বিস্তারিত বিরবণ,

বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ ও বিস্তারিত বিরবণ,

Tuesday, December 5, 2023

নওগাঁ জেলা

 

নওগাঁ জেলা
সোমপুর বিহার

নওগাঁ জেলার পরিচিতি

আজকের আলোচনার বিষয় বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের একটি সুন্দর জেলা নওগাঁ নিয়ে।

বাংলাদেশের জেলার ক্যাটাগরি অনুযায়ী এটি একটি ‘এ’ শ্রেণীর জেলা। এটি বাংলাদেশের সপ্তম বিভাগীয় শহর রংপুর বিভাগের আওতাধীন একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। আজকে আমি আপনাদের সাথে এই জেলার বিস্তারিত বিষয় নিয়েই আলোচনা করব।

 

ইতিহাস -

ভৌগলিক ভাবে এটি বৃহত্তর বরেন্দ্র ভূমির একটি অংশ।

এটি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই জেলাটি বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পশ্চিম ভাগে সীমান্তজুড়ে একটি জেলা।

এই জেলাটি পূর্বে মহকুমা হিসেবে থাকলেও পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ জেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

এই জেলার নামটি দুটি শব্দের সমন্বয়ে তৈরি। নও শব্দটি ফরাসি শব্দ নতুন থেকে আর বাংলা গাঁ মানে গ্রাম থেকে একত্রে নওগাঁ নামকরণ হয়েছে।

এর থেকে বুঝা যায় নতুন গ্রাম । আত্রাই নদীর আশেপাশে অসংখ্য নতুন গ্রাম গড়ে উঠতে শুরু করলে সেখান থেকে নওগাঁ শহরের উৎপত্তি ঘটে। প্রথমে এটি ছিল রাজশাহী জেলার আওতাধীন একটি এলাকা।

কালের পরীক্রমায় এটি গ্রাম থেকে থানা এবং থানা থেকে মহকুমা এবং পরবর্তীতে জেলায় পরিণত হয়েছে।নওগাঁ জেলার অধিকাংশ আদিবাসিরা ছিল প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন জাতির বংশধর।

 

নওগাঁ জেলার প্রশাসনিক এলাকা সমূহ -

নওগাঁ জেলাটি মোট ১১টি উপজেলা এবং ৩টি পৌরসভা এবং ৯৯টি ইউনিয়ন ও ২৮৫৪টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।

উপজেলাগুলো হলো – ১. ধামইরহাট, ২. পত্নীতলা, ৩. পোরশা, ৪. সাপাহার, ৫. বদলগাছী, ৬. নিয়ামতপুর, ৭. মান্দা, ৮. রাণীনগর, ৯. আত্রাই, ১০. নওগাঁ সদর ও ১১. মহাদেবপুর উপজেলা। আর পৌরসভা তিনটি হলো -১. নওগাঁ সদর, ৩. নজিরপুর ও ৩. ধামইরহাট পৌরসভা।

 

নওগাঁ জেলার আয়তন -

এই জেলার আয়তন মোট ৩,৪৩৫.৬৭ বর্গ কি.মি. বা ১,৩২৬.৫২ বর্গ মাইল।

 

জেলার মোট জনসংখ্যা -

এই জেলার মোট জনসংখ্যা ২,৭৮৩,৩২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ রয়েছে মোট ১,৩৭৪,৩১২ জন ও নারীর সংখ্যা ১,৪০৮,৮৪০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের সংখ্যা মোট ১৭৩ জন। ২০২২ সালের জনশুমারী ও গৃহগননা অনুযায়ী। জেলার আয়তন অনুসারে  এই জেলায় প্রতি বর্গ কি.মি. বাস করে ৮১০.১২৫ জন।


নওগাঁ জেলার মোট ভোটার সংখ্যা -

নওগাঁ জেলার সংসদীয় আসন মোট ৬টি এবং ৬টি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২২,২১,৯০৮ জন। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ ভোটার তালিকার তথ্য এটি।

 

 

নওগাঁ জেলার মাটির ধরণ -

 এই জেলার মাটির ধরণ দোঁয়াশ মাটি বা বরেন্দ্র ভূমি।

এই জেলায় বিভিন্ন ধর্মের লোক বসবাস করে, এর মধ্যে উপজাতী, হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম ও খ্রিষ্টান। তবে এই জেলায় অনেক আগে শুধুমাত্র উপজাতীরা বসবাস করত বলে ধারণা করা হয়।কালের পরিবর্তনে এখানে সব ধরনের এবং সব ধর্মের লোকের বসবাস রয়েছে।এই জেলার উপজাতীদের মধ্যে রয়েছে, সাওতাল, উরাও, মুন্ডা,সুরিয়া, পাহাড়ি, বাঁশফোরা ও কুরমি ইত্যাদি।

 

জেলার প্রধান প্রধান নদ-নদী -

বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। এই দেশের প্রতিটি জেলায়ই ছোট বড় অনেক নদী রয়েছে। ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁ জেলায় তিনটি বড় নদী রয়েছে, সেগুলো হলো, ছোট যমুনা, পুনর্ভবা ও আত্রাই নদী।

নওগাঁ জেলার ধর্মীয় ভিত্তির লোকজনের সংখ্যা -

এই জেলায় মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অনান্য ধর্মের লোকজন বসবাস করেন।  এই্ জেলায় মুসলমানের সংখ্যা - ৮৬.৮২%, হিন্দুর সংখ্যা – ১১.৪৫%, খ্রিষ্টানদের সংখ্যা – ০.৭৭%, বৌদ্ধ ধর্মের লোকের সংখ্যা – ০.১% এবং অনান্য ধর্মের লোক বাস করে ০.৯৫%। সকল ধর্মের লোক এই জেলায় মিলে মিশে বসবাস করেন।

 

নওগাঁ জেলার কৃষি -

আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ।এই দেশের প্রধান অর্থনীতি একমাত্র কৃষিই উপরই নির্ভর করে। যদি এই দেশের কৃষক তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম দ্বারা কৃষি কাজ করে শস্য চাষ না করত তবে, এই দেশের অস্তিত্ব অনেক আগেই বিলীন হয়ে যেত কালের গহ্বরে। তাই কৃষিকেই বলা হয় এদেশের প্রধান চালিকা শক্তি। সব জেলার মতই নওগাঁ জেলায় কৃষি কাজ হয়ে থাকে।এই জেলার প্রধান প্রধান ফসলের মধ্যে ধান(রোপা আমন ও বোরো)ু, গম, আলু, সরিষা, ইক্ষু, আম ও কলা ইত্যাদি বেশি পরিমাণে চাষ হয়ে থাকে।

নওগাঁ জেলা
ডানা পার্ক

জেলার শিক্ষা - প্রতিষ্ঠানের তালিকা সমূহ

বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়ই কম বেশি স্কুল, কলেজ, ুমাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিটি গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে শিক্ষার আলো। দূর হয়েছে অন্ধকার আর নিরক্ষরতার। মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে শিক্ষা একটি। তাই মানুষ হিসেবে জন্ম নিলে চোখ থাকলেও শিক্ষা না থাকলে সে মূলত অন্ধ। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শিক্ষা অর্জন করা বাধ্যতামূলক।

বাংলাদেশ সরকার সারা দেশ জুড়ে প্রতিটি গ্রামে পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য একটি করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তুলেছেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিগ বিনা পয়সায় পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপাড়া করতে পারে। এমনকি সাথে আবার উপবৃত্তি চালু করেছেন।

নওগাঁ জেলায় ১৩৭৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৮২টি, বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ৩৭৫টি, সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় আছে ০৪টি, বেসরকারী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ৭৫টি, সরকারী মহাবিদ্যালয় ০৬টি, বিশ্ববিদ্যালয় ০১টি, সরকারী মেডিকেল কলেজ ১টি, বেসরকারী মহাবিদ্যালয় আছে ৭৪টি, সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ আছে ০২টি, বেসরকারী কৃষি কলেজ আছে ০২টি, ফাজিল মাদ্রাসা ৩৩টি, কামিল মাদ্রাসা আছে ২টি, দাখিল মাদ্রাসা আছে ২০২টি,

 আলিম মাদ্রাসা আছে ৪০টি, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে ০১টি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বা পিটিআই আছে ০১টি, এইচএসসি বিএম কলেজ আছে মোট ৪৪টি ও এসএসসি ভোকেশনাল স্কুল আছে ৩৮টি।

চলুন নওগাঁ জেলার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের নামসমূহ দেখে নিই-

১. আতাইকুলা জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়,

২. রাতোয়াল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়,

৩.শফিকপুর উচ্চ ‍বিদ্যালয়,

৪. গোনা উচ্চ বিদ্যালয়,

৫. রানীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়,

৬.মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়,

৭. দুবলহাটি রাজা হরনাথ উচ্চ বিদ্যালয়,

৮. নগরকুসুম্বী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়,

৯. তপোবন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,

১০. জনকল্যাণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়,

১১. চক এনায়েত উচ্চ বিদ্যালয়,

১২. ইনায়েতপুর দাখিল মাদ্রাসা,

১৩. বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,

১৪. পাইকড়া বড়াইকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়,

১৫. সমসপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়,

১৬. নওগাঁ কেন্দ্রীয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,

১৭. নওগাঁ পিএম গিল্ডস হাই স্কুল,

১৮. নওগাঁ জিলা স্কুল,

১৯. ইউনাইটেড হাই স্কুল,

২০. হিলসা হাই স্কুল,

২১. রাতোয়াল আর এন হাই স্কুল

২২. ত্রিমোহনী হাই স্কুল,

২৩.রানীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,

২৪. কামতা এস এন উচ্চ বিদ্যালয়,

২৫. কালীগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়,

২৬. গুয়াটা উচ্চ বিদ্যালয়,

২৭. তিলাকপুর দাখিল মাদ্রাসা,

২৮. মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসা,

২৯. নওগাঁ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা,

৩০. আল ফারুকী ইসলামি একাডেমী,

৩১. আর্জী নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়,

৩২. বাঁচারীগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়,

৩৩. বারশাইল কাইয়্যুম উচ্চ বিদ্যালয়,

৩৪. বাট্টালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,

৩৫. ভীমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,

৩৬. বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,

৩৭. চুনিয়াগরী উচ্চ বিদ্যালয়,

৩৮. কীর্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়,

৩৯. মুক্তারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়,

৪০. মরসুলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,

৪১. নওগাঁ কে.ডি. সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়,

৪২. পাড়-নওগাঁ  উচ্চ বিদ্যালয়,

৪২. রামরায়পুর দীঘিরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়,

৪৩. সরাইল উচ্চ বিদ্যালয়,

৪৪. সীমান্ত পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়,

৪৫. শালুকা উচ্চ বিদ্যালয়,

৪৬. তিলাকপুর মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়,

৪৭. সাদেক জনকল্যাণ ণৈশ জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়,

৪৮. গোয়ালী আলিম মাদ্রাসা,

৪৯. চকপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়,

৫০. মরছুলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,

৫১. বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল,

৫২. শ্রী মন্টপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

৫৩. তিলতকপুর দাখিল মাদ্রাসা

৫৪. পাইয়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়,

৫৫. শিকারপুর আনোয়ার পারভেজে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা,

৫৬. পঞ্চপুর আলিম মাদ্রাসা,

৫৭. রানীনগর আল-আমিন আলিম সিনিয়র মাদ্রাসা.

৫৮. কাটখইর উচ্চ বিদ্যালয়,

৫৯. বাসদেবপুর বিএল উচ্চ বিদ্যালয়,

৬০. চন্ডিপুর দাখিল মাদ্রাসা,

৬১. বরেন্দ্র একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়,

৬২. আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়,

৬৩. আত্রাই উচ্চ বিদ্যালয়,

৬৪. বান্দাইখাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,

৬৫. বান্দাইখাড়া উচ্চ বিদ্যালয়,

৬৬. বাঙ্কা উচ্চ বিদ্যালয়,

৬৭. মল্লিকপুর এমএমজি পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়,

৬৮. কুশাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়,

৬৯. হাপানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,

৭০. গাঙজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়,

৭১. চাকলা উচ্চ বিদ্যালয়,

৭২. নগরকুসুম্বী উচ্চ বিদ্যালয়,

৭৩. হাঁসাইগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়,

৭৪. শৈলগাছী উচ্চ বিদ্যালয়,

৭৫. ভীমপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়,

৭৬. মাতাসাগর দাখিল মাদ্রাসা,

৭৭. বাচাড়ীগ্রাম দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা,

৭৮. শতপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা,

৭৯. জোকাকান্দর সোমবাড়ী হাট দাখিল মাদ্রাসা,

৮০. তেতুলিয়া বিএমসি কলেজ,

৮১. নওগাঁ সরকারী কলেজ,

৮২. বালিহার ডিগ্রী কলেজ,

৮৩. ভীমপুর আদর্শ কলেজ,

৮৪. ফয়েজ উদ্দীন মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ,

৮৫. সরকারী বিএমসি মহিলা কলেজ,

৮৬. নওগাঁ আস্তান মোল্লা কলেজ,

৮৭. নওগাঁ পলিটেকনিক,

৮৮.  বামাইন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

৮৯.  হযরত খাদিজা (রাঃ) মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা,

৯০. রাজা পুর্টিতলি হাট কলেজ,

৯১. পয়না টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ,

৯২. নওগাঁ কারিগরী ও বানিজ্য কলেজ,

৯৩. আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয়.

৯৪. রহিমা কাজেম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিএম কলেজ,

৯৫. শেরে বাংলা ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়,

৯৬. আবাদপুকুর কলেজ,

৯৭. আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয়.

৯৮. রানীনগর মহিলা কলেজ,

৯৯. বালাতির সিদ্দীক হোসেন ডিগ্রী কলেজ ও

১০০. নওগাঁ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ

 

 

এছাড়াও আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং গ্রামে রয়েছে।

এখানে উল্লেখযোগ্য কিছু শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়া হলো মাত্র।

 

 

নওগাঁ জেলা
বলিহার রাজবাড়ী

আরও পড়ুন - মাসদার সিটি, যে শহরে কোনো বিদ্যুৎ নেই।

জেলার বিখ্যাত গুনীজন –

এই জেলায় অসংখ্য গুনী ব্যক্তির জন্ম। এই জেলায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার জন্মস্থান। যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেন। তাদের ত্যাগ আর কৃতিত্বের কথা বাঙালী জীবনে ভুলে যাওয়া সম্ভব না। চলুন জেনে নিই সেই সকল গুনী ব্যক্তিদের নাম সমূহ-

 ১. সাধন চন্দ্র মজুমদার – একজন মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সরকারের একজন খাদ্য মন্ত্রী ছিলেন।

 ২. মোজাফফর রহমান চৌধুরী - পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ, বঙ্গীয় আইন পরিষদ সদস্য ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দ ও ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে গভর্নর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

 ৩. তালিম হোসেন - একজন অনুবাদক ও সাহিত্য সম্পাদক, বিশিষ্ট বাংলাদেশী কবি, তিনি ছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনুসারী। উনার উল্লেখযোগ্য সাহিত্য হল শাহীন, দিশারী ও নূহের জাহাজ। বাংলা সাহিত্যে তার বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৬৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ এবং ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত “একুশে পদক”- সম্মান লাভ করেন।

 ৪. ফারুক মাহফুজ আলম উরফে জেমস – তিনি একজন বিখ্যাত রক স্টার, গীটারিস্ট, অভিনেতা, সুরকার ও বলিউড নেপথ্য গায়ক। তিনি সারা বাংলাদেশে তার গানের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিত।

 ৫. মোহাম্মদ বায়তুল্লায় – তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম ডেপুটি স্পীকার ছিলেন।

 ৬. মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন – তিনি একজন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার। তিনি অধিকাংশ সময়ে মোহামেডান ক্লাবের হয়েই মাঠে খেলেছেন।

 ৭. আব্দুল জলিল – বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন

 ৮. মতিন রহমান – একজন বাংলাদেশী চলচিত্র পরিচালক ছিলেন।

 ৯. মোহসীন উল হাকিম – তিনি একজন সাংবাদিক। তিনি বাংলাদেশের একটি সুনামধন্য টিভি চ্যানেল যমুনা টিভির সাংবাদিক।

 ১০. মোহাম্মদ উমাজ উদ্দিন প্রামাণিক – তিনি একজন রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রীর  দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৪ সালে মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।

 

 

নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ-

নওগাঁ জেলায় অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে। আপনারা অবসর সময়ে সেই দর্শনীয় জায়গা গুলো  ঘুরে দেখতে পারেন।

১. বলিহার রাজবাড়ী, নওগাঁ সদর,

২. আলতাদিঘী, ধামইরহাট, নওগাঁ,

৩. কুসুম্বা মসজিদ, মান্দার, নওগাঁ,

৪. পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, বদলগাছি নওগাঁ,

৫. জগদ্দল বিহার ধামইরহাট,নওগাঁ,

৬. দিব্যক জয় স্তম্ভ, পত্নীতলা, নওগাঁ,

৭. জবাইবিল, সাপাহার, নওগাঁ,

৮. পতিসর কাঁচারী বাড়ি আত্রাই, নওগাঁ,

৯. ভীমের পান্টি, ধামুইরহাট,

১০. মাহি সন্তোষ, ধামইরহাট, নওগাঁ,

১১. তালের গাছ সাম্রাজ্য ঘুঘুডাঙ্গা, নিয়ামতপুর, নওগাঁ,

১২. আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান,

১৩. শালবন,

১৪. বরেন্দ্র গার্ডেন শিশু পার্ক নিয়ামতপুর, নওগাঁ,

১৫. রঘুনাথ মন্দির- ঠাকুরমান্দা, নওগাঁ,

১৬. ভবানীপুর জমিদার বাড়ি, নওগাঁ,

১৭. অগ্রপুরী বিহার, নওগাঁ,

১৮. ইসলামগাঁথী প্রাচীন মসজিদ ও মঠ, নওগাঁ,

১৯. রাতোয়াল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, রাতোয়াল, নওগাঁ,

২০. দিবরের দীঘি নওগাঁ ,

২১. হলুদ বিহার, নওগাঁ, 

২২. ডানা পার্ক ও

২৩.সোমপুর বিহার।

এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও কৃত্রিম দর্শনীয় স্থানসমূহ এবং বনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে। আপনারার অবসর সময়ে এইসব প্রাচীন দর্শনীয় স্থানসমূহ ঘুরে দেখে আসবেন। আপনারা বিনোদন পাবেন এবং অবসর সময়টা ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও এইসব থেকে আপনারা বিভিন্ন ইতিহাস জানতে পারবেন। যা হয়তো বা আপনারা বই পুস্তকে পড়েছেন আর মনে মনে ফিল করেছেন। কিন্তু বাস্তবে তা দেখতে পারলে আপনার নিকট অনেক অজানা তথ্য জানা হয়ে যাবে।

 

দর্শক আমাদের পোস্টে যদি কোনো তথ্য ভুল থাকে তবে অবশ্যই কমেন্টস করে আমাদেরকে জানাবেন। আর আপনার দেওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করে আমরা আমাদের পোস্টটি আপডেট এবং সংশোধন করব ইংশা-আল্লাহ।

আরও পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-

 বগুড়া জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,

পাবনা জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,

সিরাজগঞ্জ জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,

কুষ্টিয়া জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,

রাজশাহী জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,

মাগুরা জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,

যশোর জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,

বাগেরহাট জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,

রাজবাড়ী জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,

ঝিনাইদহ জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,

গাজীপুর জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,

মানিকগঞ্জ জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,

নেত্রকোণা জেলার পরিচিতি ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,