Friday, May 10, 2019

নোয়াখালী জেলার পরিচিতি



নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের অন্যতম একটি জেলা। এই জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি জেলা। এটি চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত। এই জেলাটি ১৮২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জেলার পূর্ব নাম ছিল ভুলুয়া, পরে ১৮৬৮ সালে এটির নামকরন হয় নোয়াখালী। নোয়াখালী জেলার মোট আয়তন ৪২০২.৭০ বর্গ কি.মি.।এই জেলার মোট জনসংখ্যা ৩৩,৭০,২৫১ জন(২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)। এই জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রায় ৮০০/ কি.মি.(২১০০/বর্গ মাইল)।
এই জেলার স্বাক্ষরতার হার ৬৯.৫০%। নোয়াখালী জেলার পোস্ট কোড ৩৮০০ এবং প্রশাসনিক বিভাগীয় কোড ২০৭৫।দেশের রাজধানী ঢাকা থেকে এই্ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৭১ কি.মি. এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহর হতে প্রায় ১৩৬ কি.মি.।

 এই জেলার পূর্বে চট্টগ্রাম জেলা ও ফেনী জেলা, পশ্চিমে লক্ষীপুর জেলা ও ভোলা জেলা, উত্তরে কুমিল্লা জেলা, এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এই জেলাটি পূর্বে ফেনী, লক্ষীপুর ও নোয়াখালী এই তিনটি জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল। বর্তমানেও এটি বৃহত্তর নোয়াখালী নামেই পরিচিত। ১৭৭২ সালে সর্ব প্রথম যখন বাংলাদেশকে মোট ১৯ টি জেলায় বিভক্ত করা হয়, তখন এই ১৯টি জেলার মধ্যে একটির নামকরণ করা হয় কলিন্দা।মূলত এই জেলাটি নোয়াখালী অঞ্চল নিয়েই গঠিত হয়েছিল। পুনরায় আবার ১৭৮৭ সালে পুরো বাংলাদেশ কে ১৪টি জেলায় পরিণত করা হয় ।তখনকার সময়ে গঠিত হওয়া এই জেলাটির নামকরণ করা হয় ভুলুয়া জেলা।আর পরবর্তিতে ১৮২১ সালে  একটি জেলা হিসেবে ভুলুয়া জেলা স্বীকৃতি লাভ করে। আর ১৮৬৮  সালে ভুলুয়া নাম পরিবর্তন করা হয়, এভাবেই নোয়াখালী জেলার জন্ম।

এই জেলাটি মোট ০৯টি উপজেলা, ০৯টি থানা এবং ০৮টি পৌরসভা, ৯১টি ইউনিয়ন, ৮৮২টি মৌজা, ৯৬৭টি গ্রাম এবং ০৬টি সংসদীয় আসন  নিয়ে গঠিত হয়।
উপজেলা সমূহের নামগুলো হলো :

১. নোয়াখালী সদর উপজেলা,
২. হাতিয়া উপজেলা,
৩. সোনাইমুড়ি উপজেলা,
৪. সেনবাগ উপজেলা,
৫. সুবর্ণচর উপজেলা,
৬. বেগমগঞ্জ উপজেলা,
৭. চাটখিল উপজেলা,
৮. কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও
৯. কবিরহাট উপজেলা

আর নোয়াখালী জেলার থানা সমূহের নাম গুলো হলো :
১. সুধারম থানা,
২. হাতিয়া থানা,
৩. সোনাইমুড়ি থানা,
৪. সেনবাগ থানা,
৫. সুবর্ণচর থানা,
৬. বেগমগঞ্জ থানা,
৭. চাটখিল থানা,
৮. কোম্পানীগঞ্জ থানা ও
৯. কবিরহাট থানা।

নোয়াখালী জেলার পৌরসভা সমূহ :
১. কবিরহাট পৌরসভা,
২. চাটখিল পৌরসভা,
৩. চৌমুহনী পৌরসভা,
৪. নোয়াখালী পৌরসভা,
৫. বসুরহাট পৌরসভা,
৬. সেনবাগ পৌরসভা,
৭. সোনাইমুড়ি পৌরসভা ও
৮. হাতিয়া পৌরসভা ।

নোয়াখালী জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ :
এই জেলায় রয়েছে অনেক সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১টি, মেডিকেল কলেজ ১টি সরকারী, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ০১টি সরকারী
, কলেজ মোট৩৫টি সরকারী ০৮টি, মাদ্রাসা ১৬১টি, মাধ্যমিক বিদ্য্যালয় ২৮৯টি সরকারী মোট ১২টি, কারিগরি শিক্ষাপতিষ্ঠান মোট ০৫টি, কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মোট ০২টি ও প্রাথমিক বিদ্যালয় মোট ১২৪৩টি।
নোয়াখালী জেলায় মোট ৪১৫৯ টি মসজিদ, ইদগাহ মোট ৪৯৭টি, মন্দির মোট ২৩৯টি, ০২টি বিহার এবং ১টি ক্যাথলিক খ্রিষ্টান গীর্জা রয়েছে।
এছাড়াও এই জেলার প্রধান নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে মেঘনা  নদী ও  ডাকাতিয়া নদী।
  নোয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে রয়েছে :
১. স্বর্ণ দ্বীপ
, ২. এয়াকুব আলী ব্যাপারী জামে মসজিদ সোনাপুর, ৩.কমলা রাণীর দীঘি, ৪. গান্ধী  আশ্রম, ৫. নিঝুম দ্বীপ, ৬. নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ মাইজদী, ৭.  বজরা শাহী জামে মসজিদ, ৮. শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম, ৯. মহাত্মা গান্ধী জাদুঘর, ১০. মাইজদী কোর্ট বিল্ডিং দীঘি মাইজদী, ১১. নোয়াখালী পাবলিক লাইব্রেরী, ১২.
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর সোনাইমুড়ি।



 আরও দেখুন :

দিনাজপুর জেলার সংক্ষিপ্ত বিবরন






মানিকগঞ্জ জেলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী