Thursday, April 11, 2019

বাগেরহাট জেলার সংক্ষিপ্ত আলোচনা


আজকে আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশের অন্যতম  সুন্দর একটা জেলা নিয়ে আলোচনা করব। যেই জেলাটি প্রাকৃতিক সৌন্দয্যে ভরপুর একটি জেলা। আর এই জেলাটির নাম হলো বাগেরহাট। এই জেলা খুলনা বিভাগে অবস্থিত। এই জেলার  উত্তরে গোপালগঞ্জ জেলা ও নড়াইল জেলা, পশ্চিমে খুলনা জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং  পূর্বে পিরোজপুর ও বরগুনা জেলা অবস্থিত।এই জেলার আয়তন প্রায় ৫,৮৮২.১৮ বর্গ কি.মি.। তারমধ্যে ১৮৩৪.৭৪ বর্গ কি.মি. বনাঞ্চল, ৪০৫.৩ বর্গ কি.মি. জলাভূমি এবং অবশিষ্টাংশ সিম্ন-সমভূমি। ভৈরব নদীর পশ্চিম তীরে বাগেরহাট জেলার সদরের অধিকাংশই অবস্থিত।


এই জেলাটি মোট ৯ টি উপজেলা এবং ৩টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। উপজেলাগুলোর নাম হলো: ১.বাগেরহাট সদর উপজেলা, ২. ফকিরহাট উপজেলা, ৩. মোল্লাহাট উপজেলা, ৪. শরণখোলা উপজেলা, ৫. রামপাল উপজেলা, ৬. কচৃয়া উপজেলা , ৭. মোংলা উপজেলা, ৮.চিতলমারী উপজেলা ও ৯. মোড়েলগঞ্জ উপজেলা।

 এই জেলাটিতে মোট গ্রাম আছে ১,০৪৭টি। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এই জেলার মোট  জনসংখ্যা ১৪,৭৬,০৯০ জন। যার মধ্যে পুরুষ আছে মোট ৭,৪০,১৩৮ জন এবং মোট মহিলা আছে ৭,৩৫,৯৫২ জন।এই জেলার মোট ইউনিয়ন সংখ্যা হলো ৭৫টি এবং মৌজার সংখ্যা ৭২০ টি। এই জেলাতে মোট ৩২ টি নদ-নদী আছে, খাল আছে মো ট ৫৪৭টি এবং বিল ৩২টি।এই জেলাতে আছে একটি সমুদ্রবন্দর, যেটির নাম হলো মংলাসমুদ্র বন্দর এবং একটি ইপিজেড আছে আর সেটির নাম হলো মোংলাইপিজেড।

 বাগেরহাট জেলার শিক্ষার হার ৭৪.৬২%। এই জেলায় মোট ১০৯০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মোট ২৮২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় , নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় মোট ৫০টি, কলেজিয়েট মোট ০৬টি,মহাবিদ্যালয় ৩৩টি এবং মাদ্রাসা মোট ২৪৫টি।
অনান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে পিটিআই ০১ টি, ভিটিআই ০১ টি, কারিগরী কলেজ ০১ টি, কৃষি ও প্রযুক্তি কলেজ ০১ টি, কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ০৪ টি, যুবপ্রশিক্ষণ কেন্দ্র ০১টি, হোমিওপ্যাথিক কলেজ ০১ টি, মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ০১ টি,  আইন কলেজ ০১ টি , টেক্সটাইল কলেজ ০১ টি, শারীরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র ০১ টি ও  সরকারী শিশুসদন ০২ টি।


ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ: এই জেলায় মোট মসজিদ আছে ২৫১৪ টি, মন্দির আছে মোট  ৬৯৪ টি , গীর্জা আছে মোট ১৮ টি,
বাগেরহাট জেলায় মোট সরকারী ৪১৫ শয্যা বিশিষ্ট মোট ১১ টি হাসপাতাল রয়েছে। এর মধ্যে সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যা বিশিষ্ট, তিনটি  ৫০ শয্যা এবং ৫ টি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট, মাতৃসদন কেন্দ্র মোট ১০ শয্যা বিশিষ্ট ।


 এই জেলায় অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। ১. যার মধ্যে একটি হলো বাগেরহাটের ষাট-গম্বুজ মসজিদ।
এই মসজিদটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন একটা মসজিদ।এই বিখ্যাত মসজিদটিতে আছে মোট ৬০টি গম্বুজ। যার কারনেই এই মসজিদটির নামকরণ করা হয় ষাট-গম্বুজ মসজিদ।
২.খান শাহজাহনের সমাধি, ৩. আছে রেজা খোদা মসজিদ, ৪.আছে জিন্দাপীর মসজিদ, ৫.আছে ঠান্ডাপীর মসজিদ, ৬.আছে সিংগাইর মসজিদ, ৭.আছে বিবি বেগনি মসজিদ, ৮.আছে চুনাখোলা মসজিদ,৯.আছে নয়-গম্বুজ, ১০.আছে  পীর আলীর সমাধি, ১১. আছে এক-গম্বুজ মসজিদ, ১১.খান জাহানের নির্মিত প্রাচীন রাস্তা, ১২.রুপা চৌধুরী পৌর পার্ক,
১৩. আছে শেখ হেলাল উদ্দিন  স্টেডিয়াম, ১৪.আছে  ওয়ান্ডার কিংডম, ১৫.বাগেরহাট পৌর পার্ক, ১৬.আছে কুটিবাড়ি, ১৭.জমিদার বাড়ি, ১৮. মোড়েলগন্জ্ঞ, ১৯.আছে  বাগেরহাট জাদুঘর, ২০. আছে  খান জাহান আলীর বিমান বন্দর, ২১. আছে চন্দ্র মহল রণজিতপুর, ২২. আছে দুবলার চর, ২৩.আছে দশ গম্বুজ মসজিদ, ২৪. আছে কোদলা মঠ, ২৫ আছে  রণবিজয়পুর মসজিদ, ২৬. আছে  জিন্দাপীরের সমাধিসৌধ, ২৭. আছে দুধমুখী বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য, ২৮. আছে চাঁদাপাই বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য, ২৯. আছে সুন্দরবন রিসোর্ট  বারাকপুর,৩০. খাঞ্জেলী দিঘী ও ৩১.  ঢাংমারী বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
উপরোক্ত লেখায় কোন ‍ভূল থাকলে অবশ্যই জানাবেন, সংশোধন করা হবে ইনশাল্লাহ।


Previous Post
Next Post

0 comments:

Thank you sharing for your comment