ড্রাগন ফল কী? কেন খাবেন? কি কি উপকারীতা এই ড্রাগন ফলে?
ড্রাগন
একটি ফলের নাম। এটি এক ধরনের ক্যাকটাস বা ফণীমনসা প্রজাতির ফল। ড্রাগন ফলেল
বৈজ্ঞানিক নাম Hylocereus undatus এটি এক প্রজাতির ফল।
এই
ড্রাগন ফলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই পাওয়া যায় এবং একেক দেশ এটিকে একেক নামে ডাকে।
গন চীনের লোকেরা এটিকে আগুনে ড্রাগন ফল বলে থাকে। ভিয়েতনামে এটিকে মিষ্টি ড্রাগন
বলা হয়। থাইল্যান্ডে ড্রাগন স্ফটিক নামে পরিচিত।
এই
ফলটি একাধিক কালারের হয়ে থাকে। তবে লাল রঙের ড্রাগন ফলটিই বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।
এই
ড্রাগন ফলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই চাষ হয়ে থাকে, তারমধ্যে উল্লেখ যোগ্য কিছু
স্থানের মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেসোআমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া,
ক্যারিবিয়ান, অস্ট্রেলিয়া এবং উপক্রান্তীয় ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে।
সাম্প্রতিককালে
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বানিজ্যিকভাবেও ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে। সারা বাংলাদেশে
এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
তবে
দাম একটু বেশি হবার কারণে মানুষজন সহজে কিনে খেতে পারছেন না।
এই
ফলের চাষ যখন প্রচুর পরিমাণে দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে তখন হয়তবা দাম অনেকাংশে কমে
যাবে।
ড্রাগন ফলের বাগান
কিন্তু
এই ড্রাগন ফলের উপকারীতা সবাই হয়তোবা জানেন না।
আসুন
আজকে জেনে নিই ড্রাগন ফলের কি কি উপকারীতা রয়েছে। আমাদের দেহের জন্য এর প্রয়োজনীতা
কতটুকু?
ড্রাগন
ফলে অনেক পুষ্টিগুন বিদ্যমান, এই ফলে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন সি” রয়েছে।
অনেকে
মনে করেন ফলমুল বেশি খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যাবে। ড্রাগন ফলের মধ্যে ক্যালরি কম ।
তাই এই ফল খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই।
এছাড়াও
এই ফলের মধ্যে আরও রয়েছে লাইকোপেনের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ওমেগা ফ্যাটি
অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, আয়রন ও ফাইবার যা আমাদের মানব দেহের জন্য
অত্যন্ত দরকারী এবং উপকারী।
ড্রাগন ফল খাবার নিয়ম-
প্রথমে আপনাকে খোসা ছিলে
আলাদা করতে হবে। তারপর ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে খেতে পারেন।
এছাড়াও আপনারা সালাদ হিসেবেও খেতে পারবেন। যেহেতু ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি রয়েছে আর
তাপ দিলে পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যায় তাই রান্না করে খাবেন না। এছাড়াও সাধারণ আপেল,
পেয়ারার মতোও কেটে খেতে পারেন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারীতা-
১. এই ড্রাগন ফলে প্রচুর
পরিমাণে আঁশ থাকায় রক্তের চর্বি কমায়, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে,হজমে সাহায্য করে,
হৃৎপিন্ডের সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।
২. ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফল
হওয়ায় চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।
৩. ড্রাগন ফলে লাইকোপেন
থাকায় এটি ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে থাকে।
৪. শরীরের ওজন কমানোর
জন্য প্রোটিন, ফাইবার ও জলীয় অংশ রয়েছে এই ফলে।
৫. হাঁড় শক্ত ও দাঁত
মজবুত রাখে ক্যালসিয়াম। আর এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম বিদ্যমান। নারীদের
জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ড্রাগন ফল।
৬. ভিটামিন সি শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে,বলিরেখা দূর করতে
সাহায্য করে, ত্বকের সতেজভাব ফিরিতে আনতে সহায়তা করে। আর এই ড্রাগন ফলের মধ্যে
ভিটামিন সি বিদ্যমান।
৭. ড্রাগন ফলের মধ্যে
প্রোটিন থাকায় এটি শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজে সহায়তা করে।
৮. দেহের জন্য আয়রন
প্রচুর দরকার। আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়। আর এই ড্রাগন ফলে প্রচুর
পরিমানে আয়রন বিদ্যমান। প্রসূতি, কিশোরী ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বিশেষ উপকারী এই
ফল।
আমাদের পোস্টে যদি কোনো
তথ্য ভুল থাকে তবে অবশ্যই কমেন্টস করে আমাদেরকে জানাবেন।
আর অবশ্যই ডাক্তার হতে
পরামর্শ নিয়ে আপনারা আপনাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেন।
আমরা তথ্যবহুল লেখা
নিয়েই প্রতিটি পোস্ট করে থাকি। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরও পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-
বাংলাদেশের সকল সরকারী
পলিটেকনিকের নাম
টাংগাইল জেলার সমস্তকলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম
0 comments:
Thank you sharing for your comment