ঝিনাইদহ জেলার সংক্ষিপ্ত বিবরনী -
আজকের আলোচনার বিষয় বাংলাদেশের অন্যতম জেলা ঝিনাইদহ জেলাকে
নিয়ে।
এই জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের
একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
প্রথমে এই জেলাটি যশোর জেলার একটি মহকুমা ছিল। পরবর্তীকালে
১৯৮৪ সালে এটি পৃথক জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
এই জেলার নামকরণ সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা পাওয়া যায় নি।
তবে লোকমুখে কথিত আছে এই জেলায় প্রচুর পরিমাণে ঝিনুক পাওয়া যেত। যা থেকে ক্যালসিয়াম
উৎপাদন করা হতো। আর এই ঝিনুক পাওয়া যেত নবগঙ্গা
ও দহা নদী থেকে। আর তখন এই জায়গাটি ঝিনুক সংগ্রহের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। যার ফলে
ঝিনুক ও দাহ থেকেই এই জেলার নামকরণ করা হয় ঝিনাইদহ।ঝিনাইদহ জেলাকে আঞ্চলিক ভাষায় ঝিনেদা
বলা হয়ে থাকে।এছাড়াও ইতিহাস হতে যে সমস্ত কথা বা গল্প কথিত আছে তা থেকে যতটা জানা যায়
তা হচ্ছে, ইংরেজ শাসন আমলে নাকি এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে এক ইংরেজ সাহেব নৌকা যোগে কোথাও
যাচ্ছিল, পথিমধ্যে এক জায়গায় দেখতে পেলেন অনেক লোক নদী হতে ঝিনুক সংগ্রহ করতেছে। তখন
ইংরেজ সাহেব লোকদেরকে জিগ্যেস করলেন এই এলাকার নাম কি?
লোকজন প্রশ্ন বুঝতে না পারায় তারা কোনো রকমে উত্তর দিলেন
ঝিনুক।তখন থেকে ভদ্র লোকটি ধারণা করে নিলেন যেহেতু ঝিনুক আর নদীর নামটি দাহ, সেহেতু
ধারণা করে নিলেন ঝিনাইদাহ।
ঝিনুক সংগ্রহ করেই তখনকার সেই অঞ্চলের মানুষেরা জীবিকা সংগ্রহ
করতেন। ঝিনুক থেকে মুক্তা আর ঝিনুকের খোলসকে পুড়িয়ে চুন তৈরী করা হতো। আর সেগুলো বাজারে
বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লোকজন লাভবান হতো।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
সময় স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বর
এই জেলাটি স্বাধীনতা লাভ করে।
ঝিনাইদহ জেলার ভৌগলিক অবস্থান;
এই জেলার উত্তরে কুষ্টিয়া জেলা, দক্ষিণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ
ও বাংলাদেশের যশোর জেলা, পূর্বে মাগুরা ও রাজবাড়ী জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ
ও বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলা অবস্থিত।
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ:
ঝিনাইদহ জেলাটি মোট ৬টি উপজেলা, ৬টি পৌরসভা, ৬৭টি ইউনিয়ন,
৯৪৫টি মৌজা, ৫৪টি ওয়ার্ড, ১৩৬টি মহল্লা এবং ১১৪৪টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।
এই জেলার আসন সংখ্যা মোট ৪টি।
এগুলো হলো ঝিনাইদহ-১ (আসন-৮১) শৈলকুপা উপজেলা, ঝিনাইদহ-২
(আসন-৮২) হরিণাকুন্ড উপজেলা ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলান আংশিক এলাকা, ঝিনাইদহ-৩ (আসন ৮৩)
কোটচাঁদপুর উপজেলা ও মহেশপুর উপজেলা ও ঝিনাইদহ ৪ (আসন-৮৪) কালিগঞ্জ উপজেলা ও ঝিনাইদহ
সদর উপজেলার আংশিক এলাকা।
উপজেলা সমূহগুলো হলো;
১. হরিণাকুন্ড উপজেলা,
২. ঝিনাইদহ সদর উপজেলা,
৩. শৈলকুপা উপজেলা,
৪. কোটচাদপুর উপজেলা,
৫. মহেশপুর উপজেলা ও
৬. কালীগঞ্জ উপজেলা।
জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যা এবং আয়তন -
এই জেলার মোট আয়তন ১৯৬৪.৭৭ বর্গ কি.মি.। এই জেলার মোট জংসংখ্যা বাংলাদেশের জনশুমারী ও গৃহগনণা ২০২২ অনুযায়ী প্রায় ২,০০৫,৪০৪ জন।
এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা মোট ৯৯৫,৫৪৪ জন ও নারীর সংখ্যা মোট ১,০০৯,৭১২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের সংখ্যা ১৪৮ জন।
জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী প্রতি বর্গ কি.মি. তে বসবাস করেন ১,০২০.৮০ জন। এই জেলার স্বাক্ষরতার হার ৬২%।
জেলার মোট ভোটার সংখ্যা-
এই জেলা মোট ভোটার সংখ্যা ১৩,১৯,২১৪ জন। যার
মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা মোট ৬,৬২,২০৭ জন এবং নারী ভোটার
সংখ্যা মোট ৬,৫৬,৫০৭ জন।
ঝিনাইদহ জেলার প্রধান প্রধান নদ-নদী -
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশের বুক চিরে অসংখ্য নদ-নদী বয়ে
চলেছে অবিরত তাই এদেশের ফসলের মাঠগুলো অত্যন্ত উর্বর । পৃথিবীর সব দেশে কৃষি কাজ হয়
না। কারণ সেখানকার মাটি উর্বর নয়। আবার কোনো কোনো দেশ মরুভূমি হবার কারণে সেখানে একেবারেই
কৃষি হয় না।আর আমাদের দেশে নদী বেশি থাকার ফলে বন্যার সময় নদী হতে অনেক পরিমানে পলিমাটি
আমাদের ফসলের জমিতে এসে পড়ে।যার ফলে জমি উর্বর হয় এবং বেশী পরিমাণে ফসল জন্মায়। বাংলাদেশ
কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের অর্থনীতি কৃষির উপরই বেশি নির্ভরশীল। তাই বেশি পরিমাণে নদী
আমাদের দেশের জন্য আশীর্বাদ।
ঝিনাইদহ জেলার
প্রধান নদ-নদীগুলো হলো- ১. কপোতাক্ষ নদ, ২. নবগঙ্গা নদী, ৩. গড়াই নদী, ৪. বেগবতী
নদী, ৫. বেতনা নদী, ৬. ভৈরব নদী, ৭. চিত্রা নদী, ৮. কুমার নদ ও ৯. ডাকুয়া নদী অন্যতম।
এছাড়াও অসংখ্য খাল-বিল, পুকুর, ডোবা-নালা, জলাশয় ইত্যাদি এই জেলায় রয়েছে। যেগুলো হতে
বর্ষাকালে আবার প্রচুর পরিমাণে মাছও পাওয়া যায়।
সরকারীভাবে বিভিন্ন বিল ও পুকুরে মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। যার
ফলে দেশে মাছের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে।
ঝিনাইদহ জেলার প্রধান ফসল, ফল ও অর্থনৈতিক অবস্থা;
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। শহর বাদে প্রায় সব জায়গায়ই কম
বেশি কৃষি কাজ হয়ে থাকে। বিশেষ করে বিভাগীয় শহরের বাইরে যেসকল জেলা সমূহ রয়েছে সেখানে
প্রচুর পরিমাণে কৃষি কাজ হয়। আর ঝিনাইদহ জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা
হওয়ায় এই জেলায় তেমন বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠেনি। যার কারণে এই জেলার মানুষের প্রধান
কাজ কৃষি। কৃষি কাজ করেই অধিকাংশ পরিবার তাদের অর্থনীতির যোগান দেন। শুধু তাদের পরিবার
নয় বরং তারা সারা দেশের মানুষের জন্য খাদ্যের যোগান দিয়ে থাকেন।এদেশের মানুষের
প্রধান খাদ্য ভাত।ঝিনাইদহ জেলায় প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়। ধানের পাশাপাশি পান,
গম, আখ, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুন,ডাল, মসলা, মরিচ ও বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি এই এলাকায় বেশি
উৎপন্ন হয়ে থাকে।
তাছাড়াও ফলমুলের মধ্যে রয়েছে আম, কলা, কাঁঠাল, পেয়ারা, নারকেল,
লিচু, তাল, ডাব ও ড্রাগন ইত্যাদি।
এই জেলার প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর পর বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে
এবং দেশের বাইরে রপ্তানী করা হয়।
এই জেলার প্রায় ৬৬.৫০% লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল।
কৃষি কাজ বাদে বাকি লোকেরা সরকারী চাকুরী, বেসরকারী চাকুরী,
ব্যবসা, প্রবাসী, গার্মেন্টস কর্মীরাও এই এলাকার অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রেখে চলেছেন।
জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সমূহ;
ঝিনাইদহ জেলাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর একটি জেলা, এই
জেলাতে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে। যেখানে আপনারা চাইলে ঘুরে আসতে পারেন। আপনার
মনকে ফ্রেশ রাখতে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে হবে।শহুরে জীবনে চলতে
চলতে যখন আপনার মনটা একঘেয়েমীতে পড়ে যাবে তখন আপনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখতে বের হবেন। দেখবেন
আপনার মনের ক্লান্তি একেবারেই দূর হয়ে যাবে। চলুন আজকে জেনে নেই ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন
দর্শনীয় স্থানসমূহ-
১. নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ী- আমাদের দেশের প্রায় সব জেলাতেই মোটামুটি দুই চারটা জমিদার বাড়ী আছেই। সেখানে গেলে আপনারা দেখতে পাবেন আগেকার দিনের জমিদারদের বসবাসের জায়গা, তাদের রাজ-প্রাসাদ, তাদের ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন জিনিসপত্র, তাদের ইতিহাস ইত্যাদি। যা আপনারা ছোট বেলায় বিভিন্ন বই পুস্তকে পড়েছেন বা মুরুব্বীদের মুখে গল্প শুনেছেন। আপনি এই জমিদার বাড়ীতে গেলে বাস্তবতা দেখতে পারবেন এবং আরও অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন।
২. নলডাঙ্গা মন্দির,
৩. নলডাঙ্গা রাজাবাড়ি
রিসোর্ট এন্ড পিকনিক স্পট,
৪. জোহান ড্রীমভ্যালী পার্ক,
৫. মল্লিকপুর বটগাছ,
৬. ধান্য হারিয়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ,
৭. সাত গাছিয়া মসজিদ,
৮. শৈলকূপা জমিদার বাড়ি ও
৯. বারো বাজার প্রত্নতাত্বিক মসজিদ এছাড়াও আরও অনেক ধরনের
পিকনিক স্পট দেখতে পারবেন।
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান;
ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন সুনামধন্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের নাম
সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো-
ঝিনাইদহ জেলার স্বাক্ষরতার হার ৬২%। এই জেলাতে উচ্চ শিক্ষার
জন্য তেমন ভালো কোনো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান নেই । তাই এই জেলার মানুষ উচ্চ শিক্ষার জন্য
জেলার বাইরে অন্য জেলা শহরগুলো এবং ঢাকা শহরে চলে যায়।
যেসকল প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলো হলো-
১. ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ১টি,
২. আইন কলেজ ১টি,
৩. কারিগরি কলেজ মোট ৪টি,
৪. ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১টি,
৫. সরকারী কে.সি কলেজ ১টি,
৬. ঝিনাইদহ সরকারী ভেটেনারী কলেজ ১টি,
৭. শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ১টি,
৮. ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়,
৯, ঝিনাইদহ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
১০. মাওলানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
১১. লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
১২. মুনুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
১৩. ৪১ নং লাউদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
১৪. শিশু কুঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ ঝিনাইদহ,
১৫. সম্মিলিত দিঘারপাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহ,
১৬. শেখ হাসিনা পদ্মপুকুর সরকারী ডিগ্রী কলেজ, মহেশপুর ,
ঝিনাইদহ,
১৭. কাঞ্চননগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ,
১৮. খালিশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহেশখালী , ঝিনাইদহ,
১৯. কোটচাঁদপুর মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
২০. আমেনা খাতুন কলেজ, নারিকেলবাড়িয়া, ঝিনাইদহ,
২১. সলিমুন্নেছা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়,
২২. নলডাঙ্গা ভূষণ
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
২৩. ৪২ নং মির্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
২৪. মহেশপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজ,
২৫, মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ কালিগঞ্জ, এছাড়াও আরও অনেক
প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব;
এই জেলায় অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্ম। যাদের অবদান বাংলাদেশের
মানুষ চিরদিন মনে রাখবেন।
এই সব লোকেরা দেশ ও জাতির জন্য এক বিশেষ পাওয়া, এরা হলেন-
১. বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান- যিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের
মহান নায়ক, তিনি বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত হন।
২. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর- তিনি একজন ইসলামি ব্যক্তিত্ব,
তিনি ইসলামি লেখক, অধ্যাপক, আলোচক, গবেষক, অনুবাদক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের এনটিভি, ইসলামিক টিভি, পিস টিভি (ভারত),
এটিএন বাংলা, চ্যানেল নাইনে ইসলামিক আলোচনা করতেন। তিনি বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য
এক বিশেষ নিয়ামত ছিলেন। তিনি সব সময় মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন। আর বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য
আলেমদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন।তার বক্তব্যে কখনো কোনো দ্বন্দ সৃষ্টি হয় এরকম আলোচনা
করেন নি তিনি।
৩. মনির খান- তিনি বাংলাদেশের একজন সুনামধন্য কন্ঠ শিল্পী।
তিনি সব সময় বিরহের গান করেন। তার গানগুলো খুবই জনপ্রিয়। সারা বাংলাদেশ জুড়ে উনার খ্যাতি
এবং ভক্ত রয়েছে। কিশোর হতে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই তার গানগুলো পছন্দ করে থাকেন।
কারণ তার গানগুলো বাস্তবমুখী, অনেক সাধের প্রিয়তমা যখন কাউকে ছেড়ে চলে যায়, হৃদয় ভেঙ্গে
গেলে তখন আর কারও গান ভালো না লাগলেও মনির খানের গানগুলোই তখন সবার সঙ্গী হয়ে যায়।
৪. আল আমিন হোসেন- তিনি বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন
বোলার। ক্রিকেট ভক্তরা আল আমিন হোসেন কে এক নামেই চিনে থাকেন।
৫. গোলাম মোস্তফা- তিনি একজন বাঙালী কবি এবং লেখক। তার কাব্যের
মূল বিষয় ছিল প্রেম এবং ইসলাম।
৬. জামাল নজরুল ইসলাম- বিখ্যাত গনিতবিদ ও পদার্থ বিজ্ঞানী।
৭. যতীন্দ্রনাথ মুখোপাদ্ধ্যায়- তিনি ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী
বিল্পবী নেতা। তিনি বাঘা যতীন নামেই সকলের কাছে পরিচিত।
৮. লতিফুর রহমান- বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি
ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
৯. ইলা মিত্র- তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম একজন নেতা।তিনি বাংলার
একজন সাহসী ও মহীয়সী নারী ও কৃষক নেতা। তিনি বাংলার শোষিত ও নির্যাতিত কৃষকের জন্য
আন্দোলন ও সংগ্রাম করে গেছেন। আর এই আন্দোলনের নাম গেভাগা আন্দোলন।
১০. মশিউর রহমান- তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রধান উপদেষ্টা।
১১. রেজা উদ্দিন ইস্টালিন- তিনি একজন বাংলাদেশী কবি, লেখক,
টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তিনি ২০০৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরুষ্কার লাভ করেন।
0 comments:
Thank you sharing for your comment