রাজবাড়ী জেলা
রাজবাড়ী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?
রাজবাড়ীকে কেন রেলের শহর বলা হয়?
রাজবাড়ীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য ।
রাজবাড়ী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা রাজবাড়ী নিয়ে।
ঢাকা শহর হতে পশ্চিমে ১২৫ কি. মি. পশ্চিমে রাজবাড়ী জেলাটি অবস্থিত। ঢাকা বিভাগের প্রশাসনিক একটি এলাকা রাজবাড়ী জেলা। বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের জেলা রাজবাড়ী। ঢাকা শহর হতে আপনি দুটি উপায়ে রাজবাড়ী জেলায় যেতে পারবেন। প্রথমটি মানিকগঞ্জ শহর দিয়ে পাটুরিয়া ঘাট, সেখান থেকে লঞ্চ বা ফেরিতে পার হতে রাজবাড়ী জেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। আর দ্বিতীয়ত ঢাকা হতে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুর শহর দিয়ে রাজবাড়ী জেলায় প্রবেশ করা যায়। মানিকগঞ্জ হয়ে যদি আপনি রাজবাড়ী জেলায় আসেন তবে আপনার দূরত্ব হবে ১২৫ কি.মি. এর একটু কম বেশি। আর যদি পদ্মা সেতু পার হয়ে ফরিদপুর দিয়ে রাজবাড়ীদে প্রবেশ করেন তবে আপনার দূরত্ব হবে ১৪৫ থেকে ১৫৫ কি.মি. এর মত।
রাজবাড়ী জেলাটি
উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশ পথ। এই জেলা দিয়ে আপনার যশোর, সাতক্ষীরা,গোপালগঞ্জ,
কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর,পাবনা, বাগেরহাট,খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী,বরগুনা,মাদারীপুর,নড়াইল,
মাগুরা, চুয়াডাঙ্গাসহ উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় যেতে পারবেন। রাজবাড়ী জেলার মধ্য দিয়ে
হাইওয়ে রোড চলে গেছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
জেলার অবস্থান-
রাজবাড়ী জেলার
উত্তরে পাবনা,পূর্বে মানিকগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে মাগুরা ও ফরিদপুর জেলা এবং পশ্চিমে কুষ্টিয়া
ও ঝিনাইদহ জেলা অবস্থিত।
জেলার ইতিহাস-
রাজবাড়ী জেলার ইতিহাস থেকে ধারনা করা যায় এই জেলাটি অনেকপূর্বে রাজাদের বসবাসের একটা স্থান ছিল। আগেকার দিনে রাজারা তাদের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে অঞ্চল ভেদে রাজা নিয়োগ করতেন। আর সেই রাজারা তাদের নির্দিষ্ট এরিয়ার মধ্যে জমিদারী বা শাসন কার্য পরিচালনা করতেন।
সেখান থেকে দেখা যায় রাজবাড়ী জেলাটিতে অনেকগুলো জমিদার বাড়ী গড়ে উঠে।
লোকমুখে জানা যায় সেই সকল রাজাদের নামানুসারেই রাজবাড়ী জেলার নামকরণ করা হয়। তবে এটা
নিশ্চিত জানা যায়নি কোন রাজার নামে এই জেলার নাম করণ করা হয়েছে। পূর্বে রাজবাড়ী নামে
কোনো জেলা ছিল না। ইংরেজ শাসনামলে কলকাতা থেকে বাংলায় প্রবেশ করার জন্য রাজবাড়ী এলাকার
মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হতো।
ঢাকা সহ পূর্ব বঙ্গের জেলা গুলোতে প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাটে যেতেই হত। এই জন্য গোয়ালন্দঘাটকে পূর্ব বঙ্গে প্রবেশের প্রবেশদ্বার বলা হতো। আর তাছাড়া ব্রিটিশ শাসনামলে কলকাতা থেকে যশোর হয়ে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত রেল লাইন ছিল। তারপর পদ্মা নদী থাকায় সেখানে আর রেল লাইন বা রাস্তা তৈরী করা হয়নি।
এই গোয়ালন্দ বন্দরটি তখন বেশ ঝাঁকজমক ও ব্যস্ত এবং পরিচিত ছিল।
রাজবাড়ী জেলাটি পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁষে অবস্থিত। আর এর প্রধান শহর রাজবাড়ী জেলা শহর।
মূলত জেলা শহরটি রেল লাইনকে কেন্দ্র করেই তখনকার সময়ে গড়ে উঠে। এজন্য এই শহরকে রেলের
শহর বলা হয়।
রাজবাড়ী শহরে
রেল স্টেশনের পাশেই অনেকগুলো পুরাতন দালান দেখা যায়। যা রেলওয়ের অফিসার্সরা থাকতেন।
যা বর্তমানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। ব্রিটিশ আমলের তৈরী দালানগুলোর নকশা দেখে আপনার
চোখ জুড়িয়ে যাবে। অসাধারণ কারুকার্য এবং নকশা আর টেকসই এই ভবনগুলো আজও সারা বংলায় দেখা
যায়। বর্তমানে রাজবাড়ী জেলাকে পদ্মা কন্যা উপাধী দেয় জেলা প্রশাসক কর্তৃক।
রাজবাড়ী জেলাটি
কৃষি প্রধান একটি জেলা। এখানে প্রচুর পরিমাণে কৃষি কাজ হয়ে থাকে। কৃষিতে এই জেলাটির
বিরাট অবদান রয়েছে।
রাজবাড়ী জেলাটি ১৭৬৫ সালে ইংরেজরা যখন তাদের মানচিত্র তৈরী করেন। তখন এই জেলাটি উত্তর- পশ্চিম ফরিদপুর অঞ্চলের আওতাধীন ছিল। যা বৃহত্তর রাজশাহী এর জমিদারীর একটি অংশ ছিল। পরবর্তী সময়ে এটি যশোর জেলার অংশ হয় এবং এত বড় জেলা একজন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
পরবর্তীকালে ১৮১১ সালে বড় জেলাটিকে ভাগ করে কয়েটি ছোট ছোট জেলায় রুপান্তর
করা হয়, আর তখন সৃষ্ট হয় ফরিদপুর জেলার। সেই সময়ে রাজবাড়ী জেলাটি ফরিদপুর জেলার মহকুমা
হিসেবে ছিল। আর ১৮৭১ সালে গোয়ালন্দ গোয়ালন্দ মহকুমা গঠিত হয়। রাজবাড়ী জেলার বর্তমান
উপজেলাগুলো একেক সময় একেক জেলার অধীনে ছিল। এক সময় পাংশা থানা পাবনা জেলার অধীনে ছিল।
এর পরে ১৮৫৯ সালে বালিয়াকান্দি ও পাংশা উপজেলা কে কুমারখালী মহকুমার অধীনে নেওয়া হয়।
১৯৮৩ সালে সারা
বাংলার মান উন্নত থানাগুলোকে উপজেলায় রুপান্ত করা হয়। আর ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ রাজবাড়ী
উপজেলাকে একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
রাজবাড়ী জেলার প্রশাসনিক এলাকা সমূহ-
রাজবাড়ী জেলাটি
মোট ৫টি উপজেলা এবং ৩টি পৌরসভা এবং ৪২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। জেলার পোস্ট কোড ৭৭০০ এবং
জেলার প্রশাসনিক বিভাগের কোড ৩০৮২।
উপজেলাগুলো হলো-
১. রাজবাড়ী সদর
উপজেলা,
২. পাংশা উপজেলা,
৩. গোয়ালন্দ উপজেলা,
৪. কালুখালী উপজেলা
ও
৫. বালিয়াকান্দি
উপজেলা।
আর এর মধ্যে তিনটি
পৌরসভা হলো-
১. রাজবাড়ী, ২.
পাংশা ও ৩. গোয়ালন্দ পৌরসভা।
রাজবাড়ী জেলায়
২টি সংসদীয় আসন রয়েছে। এগুলো হলো- আসন নং ১. রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ (সংসদীয় আসন নং ২০৯),
আসন নং ২. পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি(সংসদীয় আসন নং ২১০)।
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় মোট ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে।
এগুলো হলো-
১. মিজানপুর ইউনিয়ন,
২. দাদশী ইউনিয়ন, ৩. রামকান্তপুর ইউনিয়ন, ৪. বসন্তপুর ইউনিয়ন, ৫. খানগঞ্জ ইউনিয়ন, ৬.
সুলতানপুর ইউনিয়ন, ৭. বরাট ইউনিয়ন, ৮. চন্দনী ইউনিয়ন, ৯. পাঁচুরিয়া ইউনিয়ন, ১০. বানীবহ
ইউনিয়ন, ১১. আলীপুর ইউনিয়ন, ১২. খানখানপুর ইউনিয়ন, ১৩. শহীদওয়াহাবপুর ইউনিয়ন ও ১৪.
মূলঘর ইউনিয়ন।
গোয়ালন্দ উপজেলায় মোট ৪টি ইউনিয়ন রয়েছে।
এগুলো হলো-
১. দৌলতদিয়া ইউনিয়ন,
২. উজানচর ইউনিয়ন, ৩. দেবগ্রাম ইউনিয়ন ও ৪. ছোটভাকলা ইউনিয়ন।
পাংশা উপজেলায় মোট ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে।
এগুলো হলো-
১. বাহাদুরপুর,
২. হাবাসপুর, ৩. যশাই, ৪. বাবুপাড়া, ৫. মৌরাট, ৬. পাট্টা, ৭. সরিষা, ৮. কলিমহর, ৯.
কসবামাজাইল ও ১০. মাছপাড়া ইউনিয়ন।
বালিয়াকান্দি উপজেলায় মোট ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে।
এগুলো হলো-
১. ইসলামপুর ইউনিয়ন,
২. বহরপুর ইউনিয়ন. ৩. নবাবপুর ইউনিয়ন, ৪. নারুয়া ইউনিয়ন, ৫. বালিয়াকান্দি ইউনিয়ন, ৬.
জংগল ইউনিয়ন ও জামালপুর ইউনিয়ন।
কালুখালী উপজেলায় মোট ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে।
এগুলো হলো-
১. রতনদিয়া ইউনিয়ন,
২. কালিকাপুর ইউনিয়ন, ৩. বোয়ালিয়া ইউনিয়ন, ৪. মাঝবাড়ী ইউনিয়ন, ৫. মদাপুর ইউনিয়ন, ৬.
মৃগী ইউনিয়ন ও ৭. সাওরাইল ইউনিয়ন।
রাজবাড়ী জেলার আয়তন-
রাজবাড়ী জেলার
মোট আয়তন ১০৯২.৩০ বর্গ কি.মি.।
জেলার প্রধান প্রধান নদ-নদীর নাম-
১. পদ্মা, ২. গড়াই, ৩. হড়াই, ৪. চন্দনা, ৫. কুমার ও ৬. চিত্রা
নদী। জেলার সীমানা ঘেঁষেই রয়েছে পদ্মা ও যমুনা মিলিত স্থান। এটি আরিচা ঘাটের অন্তর্গত।
জেলার মোট জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যা-
রাজবাড়ী জেলার মোট জনসংখ্যা
১,১৮৯,৫০১ জন। এটি ২০২২ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী।
এর মধ্যে পুরুষ ৫৮১,৯০৭
জন এবং নারী রয়েছে ৬০৭,৪৯৯ জন আর তৃতীয় লিঙ্গের সংখ্যা মোট ৯৫ জন।
জেলার মোট ভোটার সংখ্যা-
রাজবাড়ী জেলায়
মোট ভোটার রয়েছে ৮,০৮,৬৮৯ জন। এর মধ্যে
পুরুষ ভোটার রয়েছে ৪,০৮,৫১১ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ৪,০০,১৭৮ জন। এটি ২০১৮ সালের
নির্বাচনের তথ্য অনুযায়ী।
রাজবাড়ী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ-
রাজবাড়ী জেলায় অনেক সুন্দর
সুন্দর দর্শনীয় স্থান রয়েছে। আপনারা চাইলে অবসর সময়ে এইসব দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করে
আসতে পারেন। প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম হলো-
১. কথা সাহিত্যিক মীর মশাররফ
হোসেন স্মৃতি কমপ্লেক্স,
২. এক্রোবেটিক সেন্টার,
৩. আবুল হোসেন ট্রাস্ট ও
মিউজিয়াম,
৪. কুটি পাঁচুরিয়া জমিদার
বাড়ী,
৫. গোদার বাজার পদ্মা নদীর
তীর,
৬. রতনদিয়া সুইচ গেট,
৭. কল্যাণদিঘি,
৮. রথখোলা সানমঞ্চ – বেলগাছি,
৯. চাঁদ সওদাগরের ঢিবি,
১০. শাহ পাহলোয়ানের মাজার,
১১. মুকুন্দিয়া জমিদার বাড়ি,
১২. বিল পুঠিয়া,কোলারহাট,
১৩. নলিয়া জোড় বাংলা মন্দির - নলিয়া বালিয়াকান্দি,
১৪. সমাধিনগর মঠ - বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়ন,
১৫. রাজবাড়ি সরকারি কলেজ,
১৬. নীলকুঠি,
১৭. দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরী ঘাট,
১৮. মাজবাড়ী গ্রাম, সোনাপুর বাজার,
১৯. মাশালিয়া ব্রিজ,
২০. বারেক গ্রাম,
২১. আবু হেনা পার্ক বাহাদুরপুর,
পাংশা,
২২. আবাসন, বহরপুর,
২৩. জামাই পাগলের মাজার - আহলাদিপুর মোড় রাজবাড়ী শহরের দক্ষিণ-পূর্বে দিকে,
২৪. বিশই সাওরাইল জমিদার
বাড়ি,
২৫. রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ
বিদ্যালয়ের লাল ভবন,
২৬. ধাওয়াপাড়া ফেরিঘাট,
২৭. দাদ্শী মাজার শরীফ – রাজবাড়ী,
২৮. রাজবাড়ী রেইলওয়ে স্টেশন,
২৯. রাজবাড়ী স্টেডিয়াম ও
৩০. রাজবাড়ী উপজেলা মডেল
মসজিদ।
রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন উৎসবের মধ্যে রয়েছে-
১. নবান্ন উৎসব ও ২. পিঠা
উৎসব। যেহেতু জেলাটি কৃষি প্রধান একটি জেলা।সুতরাং এই জেলায় পিঠা উৎসব ও নবান্ন উৎসব
তো থাকবেই। নবান্ন মানে নতুন ফসল ঘরে তোলার উৎসব। কৃষক যখন নতুন ধান কেটে ঘরে তুলে
তখন তাদের মধ্যে একধরনের আনন্দ উৎসব কাজ করে। আর তখন তারা নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠা
উৎসব করে থাকে।
এই জেলায় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীও রয়েছে।
এরা হলো-
বুনো, বিন্দি, বেহারা, বাগদী,
কোল।
বাংলাদেশ পশ্চিম পাকিস্তান
হতে এই দেশ স্বাধীন করেন ১৯৭১ সালে। আর বাংলার প্রতিটি মানুষই এই যুদ্ধের জন্য ঝাঁপিয়ে
পড়ে। প্রতিটি জেলায়ই মুক্তিযুদ্ধের কিছু স্মৃতি বিজরিত কথা ও স্থান রয়েছে। তারমধ্যে
রাজবাড়ী জেলায়ও কিছু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রয়েছে। আর সেগুলো হলো-
১. মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি,
২. লোকোশেড বধ্যভূমি,
৩. গোয়ালন্দের গণকবর ও
৪. পাংশার তারাপুর ব্রিজ
বধ্যভূমি।
শিক্ষা- প্রতিষ্ঠানের তালিকা-
রাজবাড়ী জেলায়
অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা মান সম্মত শিক্ষা লাভ করে
দেশের জন্য অবদান রাখছেন।
জেলার শিক্ষার হার ৫২.৩%।
জেলায় বিভিন্ন ধরনের সরকারী ও বেসরকারী স্কুল ও কলেজ রয়েছে।
এই জেলায় মোট ৪১৯টি প্রাথমিক
বিদ্যালয় রয়েছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে মোট ১৪০টি যার মধ্যে ৪টি সরকারী মাধ্যমিক
বিদ্যালয়, কলেজ রয়েছে মোট ২৫ টি তার মধ্যে ২টি সরকারী কলেজ।
রাজবাড়ী জেলার কিছু উল্লেখযোগ্য
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো-
১.
রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,
২.
রাজবাড়ী সরকারি কলেজ,
৩. সরকারী মহিলা কলেজ, রাজবাড়ী,
৪.
সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ রাজবাড়ী,
৫. পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়,
৬. পাংশা সরকারি কলেজ,
৭.
ডক্টর আবুল হোসেন কলেজ,
৮. কালুখালি সরকারি কলেজ,
৯. ডক্টর কাজী মোতাহার হোসেন ডিগ্রি কলেজ হাবাসপুর, পাংশা,
১০. কলিমহর জহুরুন্নেছা ডিগ্রি কলেজ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
পাংশা,
১১. মীর মশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজ,
১২. বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়,
১৩. রাজধরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
১৪. ইয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠ পাংশা,
১৫. রাজবাড়ী সরকারি বালিকা
উচ্চ বিদ্যালয়,
১৬. বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়,
১৭. পাংশা জর্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,
১৮. টাউন মক্তব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
১৯. অংকুর স্কুল ও কলেজ,
২০. আল গাজ্জালী উচ্চ বিদ্যালয়,
২১. আল্লা নেওয়াজ খায়রু উচ্চ
বিদ্যালয়,
২২. আলহাজ নিজাম উদ্দিন উচ্চ
বিদ্যালয়,
২৩. ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়,
২৪. জালদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,
২৫. কোলা সদর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়,
২৬. মূলঘর উচ্চ বিদ্যালয়,
২৭. মাটিপাড়া কাজী ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়,
২৮. মর্জৎকোল উচ্চ বিদ্যালয়,
২৯. বার্থা উচ্চ বিদ্যালয় ও
৩০. ধুলদি জয়পুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
এছাড়াও আরও অনেক সরকারী ও
বেসরকারী স্কুল কলেজ রাজবাড়ী জেলায় রয়েছে।
রাজবাড়ী জেলার গুনীব্যক্তিত্ব যারা-
১. কাজী মোতাহার হোসেন – বাংলাদেশী পরিসংখ্যানবিদ, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও বিজ্ঞানী।
২. মীর মোশারফ হোসেন – কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক।
৩. সোহেলী আক্তার – বাংলাদেশী জাতীয় মহিলা দলের একজন ক্রিকেটার। তিনি বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট
দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে থাকেন।
৪. খবিরুজ্জামান – বীর বিক্রম।
৫. এম বজলুল করিম চৌধুরী
– সচিব।
৬. রশিদ চৌধুরী – অধ্যাপক ও চিত্রশিল্পী।
৭. রোকনুজ্জামান খান – লেখক ও সংগঠক
৮. শ্রীরিশ চন্দ্র দেব দাস
- রাজবাড়ী জেলার বিখ্যাত একজন জমিদার। পুরান ঢাকার বিখ্যাত শ্রীশ দাস লেন তাঁর নামেই নামকরণ করা হয়। তাঁর
জমিদারি পরিচালিত হতো বিশই সাওরাইল জমিদার বাড়ি থেকে।
৯. মোহাম্মদ এয়াকুব আলী
চৌধুরী -তিনি বাংলা ভাষার একজন লেখক ও সাহিত্যিক।
১০. কাজী আবদুল ওদুদ একজন
বাংলাদেশী প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার।
১১. মৌলভি তমিজউদ্দিন খান - রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তান গণপরিষদ
ও জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার।
১২. মনসুর উল করিম - একুশে পদক প্রাপ্ত চিত্রশিল্পী ও শিক্ষক।
এছাড়াও আরও অনেক জ্ঞানী গুনী
এই জেলায় জন্ম গ্রহন করেছেন।
রাজবাড়ীর জেলার কৃষি-
রাজবাড়ী জেলায়
প্রচুর পরিমানে কৃষি কাজ হয়ে থাকে। এই অঞ্চলে তেমন বড় বড় কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই।
তাই এদের প্রধান পেশা কৃষিই। এই জেলার কৃষি কাজ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা
রেখে চলেছে।
রাজবাড়ী জেলায়
প্রচুর পরিমাণে ধান, পাট, সরিষা, সবজি, সুর্যমুখী, গম, ভূট্টা, আলু, মাল্টা,পেয়ারা,
পটল, বেগুন,লাউ, মরিচ ও পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ হয়। এই জেলায় তিনটি করে ফসল
হয় প্রতি বছর। কাজেই এই জেলার কৃষির প্রতি সরকার বেশি যত্নবান। প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি
ইউনিয়নে একজন করে উপসহকারী কৃষি অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন।তারা সব সময় কৃষি বিষয়ক পরামর্শ
কৃষকের কাছে সব সময় দিয়ে থাকে। আর সরকারীভাবে বিভিন্ন প্রণোদনাও কৃষকের কাছে পৌঁছে
দেয়। কৃষিই সমৃদ্ধি, কৃষিই আমাদের দেশকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
দর্শক আমাদের পোস্টে যদি
কোনো ভুল তথ্য থাকে তবে অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন। আমরা আপনার তথ্য যাচাই করে আমাদের
পোস্টটি পুনরায় আপডেট করব ইনশা-আল্লাহ।
আরও পড়তে নিচের লিংকে
ক্লিক করুন-
পাবনা জেলার ইতিহাস ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,
সিরাজগঞ্জ জেলার ইতিহাস ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,
মানিকগঞ্জ জেলার ইতিহাস ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,
কুষ্টিয়া জেলার ইতিহাস ও দর্শনীয় স্থান সমূহ.
জামালপুর জেলার ইতিহাস ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,
মাগুরা জেলার ইতিহাস ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,
যশোর জেলার ইতিহাস ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,
গাজীপুর জেলা ইতিহাস ও দর্শনীয় স্থান সমূহ,
0 comments:
Thank you sharing for your comment